খুলনায় পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে রাতেই বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির গণসমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। রাতভর নগরীর ডাকবাংলো মোড় থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কে, ফুটপাতে শুয়ে, বসে, বক্তৃতা ও বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে রাত পার করেছেন তারা।
সেখানে দলটির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে রাত ১২টার দিকে বক্তব্য দিতে শুরু করেন অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতা-কর্মীরা। প্রথমে বক্তব্য দেন যুবদলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ওই সব বাস মালিকদের বলতে চাই, আমরা শিগগির ক্ষমতাই আসছি। ক্ষমতায় এসেই আগে তোমাদের রুট পারমিট বাতিল করা হবে।’
সরকার পতনের হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা আামাদের অনেক জ্বালিয়েছেন। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে অনেকে হুমকি দিয়েছেন। আপনাদের পালিত পুলিশ বাহিনী আমাদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
‘পারলে এখন আসুন। পুলিশ-র্যাব নিয়ে এখনে আওয়ামী লীগ আসুক, রাতেই খেলা হবে। আমরা এখন থেকে খেলা শুরু করেছি। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের খেলা শেষ হবে না। যতদিন আমাদের নেত্রী মুক্ত না হবেন, তারেক রহমান দেশে না ফিরবেন, আমরা খেলতে থাকব।’
জেলার সোনালী ব্যাংক চত্বরে শনিবার বেলা ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরুর ঘোষণা রয়েছে।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেল, চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম; নারায়ণগঞ্জে শাওন; মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন; যশোরে আব্দুল আলিমকে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় নেতা-কর্মীদের স্লোগানে সরগরম হয়ে উঠে এলাকা।
এ সময় বক্তব্যে খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘রাতে নেতা-কর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থলে এসেছেন। ইতোমধ্যে আমাদের মহাসচিব এখানে এসেছেন। আরও নেতা-কর্মীও দলে দলে হাজির হচ্ছেন। তারা রাতভর এখানে থাকবেন। তাদের বসার জন্য তাঁবু বিছানো হয়েছে। আমাদের এত পরিমাণ নেতা-কর্মী হাজির হয়েছেন যে শহরের সব হোটেলেও ধরবে না। আমাদের আরও নেতা-কর্মী আসবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সমাবেশস্থলে হাজির থাকেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাত ১০টার দিকে বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা হাতে আসতে দেখা যায় নেতা-কর্মীদের।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাতে পুলিশের সতর্ক উপস্থিতি দেখা গেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের জন্য বিএনপিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা আমাদের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে।’