লাল আর সাদা শাপলায় ছেয়ে আছে রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি সদরের কাপ্তাই হ্রদের অংশ। প্রতি বছর শাপলার এই রাজত্ব দেখতে সেখানে ছুটে যান ভ্রমণপিপাসুরা।
শীতের কাছাকাছি শাপলা ফোটা শুরু হয়। আর এদের রাজত্ব শেষ হয় শীতের বিদায়বেলায়। প্রতি বছর শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে হ্রদ আর পাহাড়বেষ্টিত রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি সদরে হ্রদের বুকে নীল জলরাশিতে লাল আর সাদা শাপলা ফোটে।
রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম উপজেলা জুরাছড়ি। শহর থেকে জুরাছড়ির দুরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। শহর থেকে সেখানে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। আড়াই ঘণ্টার নৌপথ পেরিয়ে অনেকে এ দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে যান শাপলার রাজ্যে।
সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে হ্রদের বুকে শাপলার রাজত্ব শুরু হয়। পুরো শীতকাল জুড়ে জুরাছড়ি সদর এলাকায় রাজত্ব করে লাল আর সাদা শাপলা।
হ্রদের বুকে শাপলার সৌর্ন্দয উপভোগ করতে কেউ বন্ধু, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেউ আবার ফটোসেশনের জন্য সেখানে ভিড় জমান।
এ বছর পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে জুরাছড়ি। নৌকা করে প্রতিদিন ঘুরতে আসছে ভ্রমণপিপাসুরা। রঙিন শাপলার রাজ্যে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন অনেকে।
জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা জানান, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে জুরাছড়িতে শাপলা ফোটে। লাল আর সাদা এ দুই রঙের শাপলা দেখা যায়। তবে সাদা শাপলা বেশি দেখা যায়। শীতকাল শেষে হ্রদের পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাপলার রাজত্ব কমে যায়। হ্রদের পানি কমে গেলে শাপলার অস্তিত্ব আর থাকে না।
ওই এলাকার বাসিন্দা প্রবিণা চাকমা। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর এ সময়ে জুরাছড়িতে শাপলা ফোটে। এ দৃশ্য উপভোগ করতে বেশিরভাগ মানুষই সকালে ভিড় জমায়। প্রথম শাপলা ফোটা শুরু হয় ২০২০ সালে। তখন থেকে প্রতি বছর এ সময়ে শাপলা ফোটে। পর্যটকরা এ দৃশ্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন।’
শাপলার দৃশ্য উপভোগ করতে এসেছেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অমৃতলাল চাকমা। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন বন্ধু নিয়ে শাপলার দৃশ্য উপভোগ করে এসেছি। খুবই মনোমুগ্ধকর।’
জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, ‘শাপলা ফোটা শুরু হলে এখানে স্থানীয় পর্যটকসহ বাইরের পর্যটকরা আসেন। কীভাবে এই শাপলার বিলকে সংরক্ষণ করে আরও আকর্ষণীয় ও পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তোলা যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।