বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাঠিতে পতাকা বেঁধে রাতেই সমাবেশস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২২ ২২:৩৪

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘রাতে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থালে থাকবেন। আমরা মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছি।’

বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা বেঁধে খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে রাতেই রওনা দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে সমাবেশ স্থলে হাজির হয়েছেন অনেকে।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নেতাকর্মীরা দলে দলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে হাজির হন।

এই চত্বরে শনিবার দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরুর ঘোষণা রয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেল, চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন, যশোরে আব্দুল আলিমকে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করা হচ্ছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘রাতে নেতাকর্মীরা দলে দলে সমাবেশস্থালে থাকবেন। আমরা মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছি।’

তিনি জানান, সমাবেশস্থলে এরই মধ্যে হাজির হয়েছেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী। রাতভর তারা নগরীর ডাকবাংলো মোড় থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত মিছিল করে কাটিয়ে দেবেন। তাদের জন্য তাঁবু টানানো হয়েছে।

রাত ১১টার দিকে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সমাবেশস্থলে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: নিউজবাংলা

নগরীর ডাকবাংলো ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির সমাবেশস্থল ঘিরে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।

খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের জন্য বিএনপিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।’

খুলনায় বাস বন্ধ

শনিবার বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। যদিও মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন বন্ধ না হওয়ায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একই সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে তারা গণপরিবহন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।

খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নসিমন, করিমন, মাহেন্দ্র ও ইজিবাইক চলাচল করছে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন এগুলো বন্ধ না করলে ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা মালিক সমিতি নিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি।’

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের গণসমাবেশে কেন্দ্র করেও বাস বন্ধ করা হয়েছিল। খুলনাতেও তার বাইরে কিছু হয়নি। এটা আওয়ামী লীগের নেতাদের ইন্ধনেই হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ‘বাস আওয়ামী লীগ চালায় না। আমাদের নামে দোষ দিলেই তো হবে না। মালিক সমিতি বাস বন্ধ করেছে, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।’

খুলনায় বাসের পাশাপাশি ধর্মঘট পালন করছেন লঞ্চ শ্রমিকরাও। শুক্রবার সকালে ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ওই ধর্মঘট শুরু করেছে লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

বিএনপির নেতাদের দাবি, শনিবার তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে খুলনাকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। সমাবেশে যাতে লোকের সমাগম কম হয়- সেই চেষ্টাই করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

সমাবেশস্থলে পৌঁছে শত শত নেতাকর্মী শুয়ে-বসে রাত পার করছেন। ছবি: নিউজবাংলা

লঞ্চ চলাচল বন্ধ

খুলনার বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের খুলনাঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চশ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদের খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া ধর্মঘট শেষ হবে ২২ অক্টোবর রাতে।

এ বিভাগের আরো খবর