বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক প্রস্তুতি, ভাবান্তর নেই বাংলাদেশে

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২২ ২১:৪৮

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে যে পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে, সেটি আরও যাচাই করা দরকার। তাদের বিবেচনায় এখনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। সেটি তৈরি হতে আরও সময় লাগতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে জানিয়ে সেটি ঘূর্ণিঝড় হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে এখনই নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।

তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর দাবি করছে, এখনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এখনও তারা করছে না।সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বাতিল করা হয়েছে ছুটি।

তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে যে পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে, সেটি আরও যাচাই করা দরকার। তাদের বিবেচনায় এখনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। সেটি তৈরি হতে আরও সময় লাগতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তুতি কেমনবৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে শনিবার। সোমবার এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

তারা বলছে, মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশে ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের পক্ষ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা শাসককে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। কেউ ছুটিতে থাকলে ২২ অক্টোবরের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাগরে লঘুচাপ, পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে

ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় দীঘা, শংকরপুর, মন্দারমনি ও তাজপুর উপকূল অঞ্চলে মাইকিং চলছে। পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। রোববার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা গিয়েছেন তাদের শনিবারের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ইয়াসের পর এটি পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে উপকূল অঞ্চলের মানুষজনকে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা রাখছে রাজ্য প্রশাসন। প্রস্তুত থাকছে দুর্যোগ মোকাবিলার টিম।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর নির্ভারপশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন সম্ভাব্য ঘূর্ণিঘরের মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিলেও বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিশেষ কোনো বার্তা আসেনি।

এটা কেন- জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে বার্তা দেয়া হয়েছে সেটি আর একটু যাচাই করার দরকার আছে।

‘সমুদ্রের দুইপাশে তিনটা দেশ; বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার। তাই এসব দেশের আবহাওয়া অফিসের মধ্যে আবহাওয়া নিয়ে একটা সম্পর্ক থাকে। সাইক্লোনটা আমাদেরও না আবার ওদেরও না। এটা যে কোনো দিকেই মুভ করতে পারে।’

আরও পড়ুন: এ মাসের মাঝামাঝিতেই কি সুপার সাইক্লোন ‘সিত্রাং’?

নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যে বার্তা দিয়েছি সেটা নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। সমুদ্রে যেটি সৃষ্টি হয়েছে সেটি এখন পর্যন্ত লঘুচাপ আকারেই আছে। এটা পরবর্তীতে ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এখনও নেয়নি।’

অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল এটা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপে পরিণত হয়ার পর এটার গতিবিধি বোঝা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর