খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তবে এভাবে জনস্রোত আটকানো যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনগণের যে স্রোত এটাকে দমন করার ক্ষমতা কোন সরকারের নেই। কখনও ছিল না, এখনও নেই, আগামী দিনেও থাকবে না। এটাই ইতিহাস, এটাই বাস্তবতা।’
খুলনার সমাবেশের আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মানব সেবা সংঘের আয়োজনে ‘মুক্তির পংক্তিমালা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান এসব কথা বলেন নজরুল।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘খুলনায় বিএনপির সমাবেশের আগে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রাইভেট কারে করে কেউ যেতে চাইলেও তাকে আটকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হচ্ছে যে সেখানে বিএনপির কিছু আছে কি না।
‘ময়মনসিংহে বিএনপির গণসমাবেশের দিন বাস, ট্রাক, মিনিবাস, টেম্পু, এমনকি ইজিবাইক পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমন ময়মনসিংহ জেলা থেকে আশেপাশের সকল জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। একদিন বন্ধ রাখা হয়েছে, তারপরেও বিশাল জনসভা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আগামী কালকে খুলনার জনসভা অনেক বড় হবে।’
বিএনপির সমাবেশে জনস্রোত দেখে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে গেছে বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা। দাবি করেন, এই জনস্রোতের সবাই বিএনপির নেতা-কর্মী নয়, সাধারণ মানুষও আছে।
নজরুল বলেন, ‘দেশটাকে নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে, সেটা হতে দেয়া যাবে না। সেজন্যে আজ জনগণ মাঠে নেমেছে। ইতিহাস বলে যখন সাধারণ মানুষ আন্দোলনে যুক্ত হয়, তখনই আন্দোলন বেগবান হয়, তখনই আন্দোলন বিজয় লাভ করে।’
বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে সরকার পাপ করেছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা বলে আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু এ দেশের আদালত কীভাবে তারা নিয়ন্ত্রণ করে আমরা দেখি না?
‘এ দেশের প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে হয়। আর যারা তাদের পক্ষে রায় দেয় তারা প্রধান বিচারপতি হয় এবং অবসরে যাওয়ার পর কোনো না কোনো দায়িত্ব পায় বেশি বেতনে।’