বরিশালে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে রোগী ভর্তি হয়েছে ১৮ জন। এ নিয়ে হাসপাতালটিতে ৭০ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে ৫ জন। বর্তমানে বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন ১৭০ ডেঙ্গু রোগী ।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মামুন হাওলাদার। গত ১১ অক্টোবর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বরিশালের বাকেরগঞ্জে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। এরপর ১৩ অক্টোবর অবস্থার অবনতি হলে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় তার পরিবার।
ভর্তির পর প্রথমে রক্তের প্লাটিলেট ছিল ৫৬ হাজার। গত ৬ দিন চিকিৎসা শেষে এখন রক্তের প্লাটিলেট ৯৫ হাজারে উঠেছে। তবে হাসপাতালে ঠিকমত চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে দাবি মামুনের বাবা মাসুদ হাওলাদার।
শুধু মামুন হাওলাদার নয়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধিকাংশ রোগীই আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকায় কাজে অথবা বেড়াতে গিয়ে। প্রথমে জ্বর ও শরীর ব্যথা অনুভব হওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে পরীক্ষা করালে ধরা পড়ে ডেঙ্গু।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার শাহরিয়ার হক বলেন, ‘রোগীদের রক্তের প্লাটিলেট সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থাকা প্রয়োজন। তার নীচে হলেই রক্ত দিতে হবে রোগীকে।’
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।’