খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকাতে পুলিশ এক রাতে অর্ধশত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।
সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘২২ অক্টোবর আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করতে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা উসকানিমূলক আচরণ না করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
‘পুলিশের অভিযানে নগরী থেকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সমাবেশে না যেতে কঠোর হুমকি দিচ্ছেন। সমাবেশে গেলে পরিণত অশুভ হবে বলে হুংকার ছাড়ছেন তারা।’
দুদু আরও বলেন, ‘সমাবেশ বানচাল করতে বিভাগজুড়ে ভিতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবহন-লঞ্চ-ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, বাগেরহাট, নড়াইল থেকে কি নেতা-কর্মীরা পায়ে হেঁটে আসবেন? নদী সাঁতরে খুলনায় আসবেন? এ কেমন মানসিকতা? দেশে এমন পরিস্থিতি হবে কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একাত্তরে রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি যেখানে অবস্থান করছিলেন, পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।’
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, ‘শনিবার দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ সমাবেশ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। আন্দোলনে শহীদ পাঁচ সহকর্মী হত্যার বিচারের দাবিতে। এই সমাবেশ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে।’
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে রামদা, হকিস্টিক নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, এই সরকার শেষ সরকার নয়। এসব কাজের পরিণতি শুভ হবে না।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল-মামুনকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।