ঢাকার ধামরাইয়ে অস্ত্রের আঘাতে সেলিম তালুকদার নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় তার মাসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বুরখুই গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সেলিম তালুকদার ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অটোরিকশা চালাতেন।
হামলায় আহত হয়েছেন সেলিমের মা শিরিন বেগম। তাকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের আত্মীয় শরীফ তালুকদার ও শাহিন তালুকদার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষ আব্দুস সাত্তার, তার ছেলে মো. জাহিদ ও দ্বীন ইসলাম এবং ভাগিনা মো. লিটনের হামলায় সেলিম খুন হয়েছেন বলে জানান তার ভাতিজা আব্দুল মালেক।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, সেলিম তালুকদারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুইপক্ষের লোকজন বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় সাত্তার, তার ছেলে জাহিদ, দ্বীন ইসলাম ও ভাগিনা লিটনসহ ৮-১০ জন চাপাতি, লাঠিসোটা নিয়ে সেলিমের ওপর হামলা করেন।
মালেক জানান, তারা চাপাতি দিয়ে সেলিমের মাথায় আঘাত করেন। তাকে বাঁচাতে গেলে তার মা শিরিন বেগম, আত্মীয় শরীফ ও শাহিনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। সেলিমকে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) নির্মল কুমার দাস বলেন, ‘ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধে একজন মারা গেছেন। দুইজন আহতের খবর পেয়েছি। সংঘর্ষে জড়ানো দুই পরিবার আত্মীয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের কর্মকর্তারা গেছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’