বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিপিএ ফাইভের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে শিশুরা ক্লান্ত : হানিফ

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৫১

হানিফ বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে শিশুদের লক্ষ্য জিপিএ ফাইভের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অভিভাবকরাই ঠিক করে দিক করে দিচ্ছেন এটা৷ শিশুরা জিপিএ ফাইভের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত। অথচ বাইরের দেশগুলোতে ক্লাস এইট পর্যন্ত স্কুলে তেমন কোনো পরীক্ষাই নেই। বাচ্চাদের সুযোগ দেওয়া হয়-কার কোন দিকে ইচ্ছা-প্যাশন, সেদিকে মেধার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেয়া হয়।’

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শিশুরা এখন জিপিএ ফাইভের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত।

শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের চারুকলায় ‘ভোরের পাখি শেখ রাসেল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে শিশুদের লক্ষ্য জিপিএ ফাইভের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অভিভাবকরাই ঠিক করে দিক করে দিচ্ছেন এটা৷ শিশুরা জিপিএ ফাইভের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত।

‘অথচ বাইরের দেশগুলোতে ক্লাস এইট পর্যন্ত স্কুলে তেমন কোনো পরীক্ষাই নেই। বাচ্চাদের সুযোগ দেওয়া হয়-কার কোন দিকে ইচ্ছা-প্যাশন, সেদিকে মেধার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষ আছে। কিন্তু আদর্শ মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আমরা সবাই শিশুদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাই। আদর্শ মানুষ বানানোর দিকে আমাদের চিন্তা নেই। অথচ তার প্রথম স্কুল তার পরিবার। প্রথম শিক্ষক তার বাবা-মা।

‘অভিভাবকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, তাদের ভবিষ্যতে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগটা করে দেবেন। নীতি-নৈতিকতা শেখাবেন। এই দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে পরিপূর্ণ ধারণা দেবেন।’

এর আগে বেলা সাড়ে ৯টার দিকে এ উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গৌরব ’৭১। প্রতিযোগিতায় ছয় শতাধিক শিশু অংশ নেয়। আলোচনা সভার শেষে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করে সংগঠনটি।

শেখ রাসেল সম্বন্ধে শিশুদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ রাসেল জাতির পিতার পুত্র, এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিষ্ঠুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হিসেবে সে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

‘ছোট্ট শিশু রাসেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আজ যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেন, সেটা নিয়ে তাদের কারো কোনো কথা নেই।’

বিএনপি-জামায়াত দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে দাবি করে তাদের মোকাবিলা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান মাহবুবুল আলম।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, ‘আজকে যত শিশুকে একসঙ্গে ছবি আঁকতে দেখেছি, এমন কখনো দেখিনি। তারা শেখ রাসেলের ছবি আঁকছে।’

শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা এই ছবি কেন এঁকেছো জানো? কারণ, বাবার চরিত্রের সব গুণ তার মধ্যে ছিল। শেখ রাসেল বাদামওয়ালাকে নিজের টিফিন দিয়ে দিতেন। রাসেল বলতেন, একটু সোনার বাংলা গাও না। তখন তো সবাই পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত পড়তো।

‘রাসেলের একটি ছবিতে দেখা যায় তার হাতে মানচিত্র ছিল। রাসেল দেশ চাইতেন। কারণ রাসেল দেশটাকে ভালোবাসতেন। এসব কারণেই রাসেলের ছবি আঁকানো হচ্ছে।’

শিশুদের উদ্দেশে অধ্যাপক সামাদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জীবন অনেক কষ্টের! তার বাবা-মা, ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, মায়েদের অপমান করেছে, তাদের ষড়যন্ত্রের কারণেই রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। তারাই আজ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সংবাদমাধ্যম বিবার্তা টুয়েন্টিফোরের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর