বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনায় ধর্মঘটে লঞ্চ শ্রমিকরাও

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:১৭

বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন খুলনাঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘লঞ্চ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদের খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া ধর্মঘট শেষ হবে ২২ অক্টোবর রাতে।

খুলনায় বাসের পাশাপাশি ধর্মঘট পালন করছেন লঞ্চ শ্রমিকরাও। শুক্রবার সকালে ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ওই ধর্মঘট শুরু করেছে লঞ্চ শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

বিএনপির নেতাদের দাবি, শনিবার তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে খুলনাকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। সমাবেশে যাতে লোকের সমাগম কম হয়- সেই চেষ্টাই করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

খুলনার বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের খুলনাঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চশ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদের খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া ধর্মঘট শেষ হবে ২২ অক্টোবর রাতে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘শ্রমিকদের বেতন মাত্র সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এই দ্রব্যমূলের বাজারে সীমিত বেতনে পেট চলে না। তাই ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।’

জানা গেছে, খুলনা থেকে প্রতিদিন ছয়টি লঞ্চ দক্ষিণ দিকে যায়। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খুলনা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

যাত্রী অনুপ মণ্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দিতে রাতেই কয়রা থেকে খুলনায় এসেছিলাম। রাতে ছিলাম এক আত্মীয়র বাসায়। পরীক্ষা দিয়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু বাস চলাচল না করায় লঞ্চে কয়রায় ফিরে যাওয়া যাবে কি না, সে জন্য ঘাটে এসেছিলাম। এসে দেখি লঞ্চও বন্ধ।’

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন শুক্রবার সকাল থেকে জেলায় বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সড়ক ও মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন অর্থাৎ নছিমন, করিমন, ভটভটি, ইজিবাইকসহ সব অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনার সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা মালিক সমিতি নিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছি।’

মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ১৮টি রুটে প্রায় এক হাজার ২০০টি বাস চলাচল করে। তাতে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন।

পাল্টাপাল্টি দাবি আ.লীগ–বিএনপির

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক এহতেশামুল হক শাওন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২২ অক্টোবর আমাদের বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে ট্রেনের টিকিটেও।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে খুলনাকে অচল করে দেয়া হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য আমাদের সমাবেশে যাতে কম লোক হয়। তবে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না। আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রয়োজনে হেঁটে বা সাঁতার কেটে হলেও সমাবেশে আসবে।’

খুলনা জেলা বাস-মিনি বাস মালিক সমিতির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বাস বন্ধ ঘোষণার সময়ে আমি ঢাকায় ছিলাম। মালিক সমিতির অন্য সদস্যরা আমার সঙ্গে আলোচনা করেই ঘোষণা দিয়েছেন।’

বাস বন্ধ করতে আপনি দলীয় কোনো প্রভাব খাটিয়েছেন কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন আমরা গত এক মাস ধরে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধের জন্য প্রশাসনকে বলে আসছি। গত এক মাসে আমরা কয়েকটি মিটিংও করেছি। আর বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে তাতে আমাদের অসুবিধা কোথায়। তারা যদি কোনো বিশৃঙ্খলা না করেন, আমরা কেন করতে যাব।’

এ প্রসঙ্গে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ‘বাস বা লঞ্চ আমরা চালাই না। শ্রমিকরা তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ করেছে। এখানে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর