বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইবিতে ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগে বিক্ষোভ, বৈঠকে প্রশাসন

  •    
  • ২১ অক্টোবর, ২০২২ ১৩:১১

অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, ‘ওই মেয়েরে আমি চিনি না। মেইন গেটে বহিরাগত এক ছেলে ফাউল টক করায় একটু ঝামেলা বাধছিল।’

আবাসিক হলে জানালার পাশের সিটে শিক্ষার্থী উঠানো নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

হেনস্তার শিকার ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রী পপি আক্তার জানান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়ার সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান হাফিজ হলের সিট নিয়ে তাকে জেরা করেন।

তিনি জানান, ঘটনার একপর্যায়ে হাফিজ ও তার সহযোগীরা তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। ঠেকাতে গেলে মারধর করা হয় সঙ্গে থাকা বন্ধুকে।

এ ঘটনার পরপরই আন্দোলন শুরু করেন খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন তারা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজের শাস্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

আন্দোলনরত সুমাইয়া তাবাসসুম বলেন, ‘আজকে আমাদের আপুকে হেনস্তা করা হয়েছে। কাল আমিও হেনস্তার স্বীকার হতে পারি। আমরা হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের বহিষ্কার করা না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।’

আন্দোলনকারীরা জানান, জানালার পাশের সিট নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজের রেফারেন্সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী সৈয়দা সায়মা রহমান খালেদা জিয়া হলের নতুন ব্লকের ২০৪ নম্বর রুমে অতিথি হিসেবে ওঠেন।

একপর্যায়ে সায়মা ওই রুমের জানালার পাশের সিটে উঠতে চান। আগে থেকে ওই সিটে অবস্থান করছিলেন এক সিনিয়র। ওই সিনিয়রের পক্ষ নেন রুমের আরেক সিনিয়র পপি। তার জেরে বাগবিতণ্ডা।

পপি বলেন, ‘জুনিয়র জানালার পাশের সিটে উঠতে চাইলে আমি বলি, সিনিয়ররা জানালার পাশে উঠতে পারে। আপাতত ওখানে এক সিনিয়র আছে। তুমিও সিনিয়র হলে জানালার পাশে যেতে পারবে। তাকে সেখানে উঠতে নিষেধ করায় হাফিজ আমাকে হেনস্তা করে এবং সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসান হাফিজ বলেন, ‘ওই মেয়েকে আমি চিনি না। মেইন গেটে বহিরাগত এক ছেলে ফাউল টক করায় একটু ঝামেলা বাধছিল।’

হলের সিটের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।’

রাতে জানালার পাশে সিট চাওয়া ওই ছাত্রী সৈয়দা সায়মা রহমানকে হল থেকে বের করে দেন অন্য শিক্ষার্থীরা। পরে হল প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হলের হাউস টিউটর এবং সহকারী প্রক্টররা দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কার্যকর কিছু করতে পারেননি।

বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে প্রভোস্ট কক্ষে দুই পক্ষ নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী।

এ বিভাগের আরো খবর