ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৫টি মামলা হয়েছে, জরিমানা আদায় হয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ডিএনসিসি জানায়, ১০টি অঞ্চলে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর অধীন আগারগাঁও এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ফুটপাত দখল করে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৪-এর অধীন ১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কল্যাণপুর, নতুনবাজার ও পূর্ব মনিপুর এলাকায় অভিযানকালে প্রায় ১০৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়। এ সময় একটি বাড়িতে লার্ভা পওয়ায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অঞ্চল-৬-এর অধীন উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ভবন মালিকদের ৩টি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৯-এর অধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় সেখানে ৩টি মামলায় ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর অধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ১টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২-এর অধীন রূপনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ ছাড়া অঞ্চল-১-এর অধীন কুড়িল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নাইন অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে ৬টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।