বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লিবিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে শিগগির এমওইউ সই

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২২ ২১:০৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘লিবিয়ার শ্রমবাজার এতদিন বন্ধ ছিল। আমরা ওপেন করে দিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আমরা একটি সমঝোতা স্মারক সই করব।’

লিবিয়ার শ্রমবাজারে লোক পাঠানোর বিষয়ে দ্রুতই দেশটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লিবিয়ার শ্রমবাজার এতদিন বন্ধ ছিল। আমরা ওপেন করে দিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আমরা একটি সমঝোতা স্মারক সই করব।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় লিবিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত এসেছেন। আমাদের দেশ থেকে প্রচুর মানুষ লিবিয়ায় যায় অবৈধভাবে। তারা তিন জায়গা থেকে সেখানে যায়। তারা প্রথমে ভিজিটর হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যায়। সেখানে কিছুদিন চাকরি-বাকরি করে টাকা-পয়সা হলে পরে তারা লিবিয়ায় যায়।

‘আরেকটি দেশ হলো ভারত। প্রতিবেশী এই দেশে গিয়ে সেখান থেকে তারা কেমনে কেমনে যেন পথ বের করে নেয়। লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আমাদের জানিয়েছেন, আরেক দল যায় মিসর থেকে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষগুলো লিবিয়ায় যায় মূলত সেখান থেকে ইউরোপ যাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু অনেকেরই খুব কষ্ট হয়। অনেকে মারাও যায়। গতকালই তো আমরা সেখান থেকে ১৪৩ জনকে বন্দিদশা থেকে ফেরত এনেছি। এতে অনেক খরচ হয়, দেশের‌ও বদনাম হয়।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘লিবিয়ায় বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। সামনেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন শেষে দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। নতুন পরিস্থিতিতে তাদের প্রচুর লোক লাগবে। তখন কেবল লেবার নয়। বাংলাদেশ থেকে অন্য পেশাজীবীদেরও দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’

লিবিয়া জ্বালানি সহায়তা দিতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ফেরত আনা হলো ১৪৩ জনকে

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় লিবিয়া থেকে ১৪৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

আইওএম-এর ভাড়া করা লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট ত্রিপলির মেতিগা বিমানবন্দর থেকে ১৯ অক্টোবর রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দূতাবাস জানায়, প্রত্যাবাসনকৃত এসব অভিবাসীর মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ এবং বিপদগ্রস্তও ছিলেন।

ত্রিপোলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম শামিম উজ জামান বুধবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রত্যাবর্তনকারীদের বিদায় জানান। ফ্লাইটটি পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য তিনি লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অভিবাসন অধিদপ্তরসহ আইওএমকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

এ বিভাগের আরো খবর