বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাবিতে ভিসিবিরোধী আন্দোলন : ৫ ছাত্রকে মামলা থেকে অব্যাহতি

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:৩৮

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওশাদ আহমদ চৌধুরী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। তদন্তে পুলিশ তাদের সম্পৃক্ততা পায়নি।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসিবিরোধী আন্দোলনে অর্থ জোগান দেয়ার অভিযোগে করা মামলা থেকে সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া তাদের অব্যাহতি দেয়ার আদেশ দেন।

এর আগে জালালবাদ থানা পুলিশ এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন, শাবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান খান, স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুইন, এএফএম নাজমুল সাকিব, এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সল আহমেদ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নওশাদ আহমদ চৌধুরী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। তদন্তে পুলিশ তাদের সম্পৃক্ততা পায়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু খালেদ মামুন বৃহস্পতিবার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।

প্রতিবেদনটি গ্রহণ করে আদালত অভিযুক্তদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

জালালবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, মামলার তদন্তে আমরা অভিযুক্তদের কোনো অপরাধ পাইনি। বাদীও মামলা চালিয়ে যেতে আগ্র্রহী নন। তাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।

শাবি ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে জানুয়ারিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি ও অর্থ সহায়তা দেয়ার অভিযোগে ২৪ জুনায়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে ঢাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরদিন তাদের জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা তাঁতি লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুজাত লায়েক আহমদ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন ।

ভিসিবিরোধী আন্দোলনের এক পর্যায়ে আমরণ অনশনে বসেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ২৬ জানুয়ারি ভোররাতে ক্যাম্পাসে যান জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক। তারা দুজনই শাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হবে, দুই অধ্যাপকের এমন আশ্বাসে ১৬৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন ২৮ শিক্ষার্থী। তবে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা।

এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি সিলেট গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচটি দাবি এবং আট দফা প্রস্তাবনা দেন।

তাদের দাবিগুলো ছিল : উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগসহ ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ, আন্দোলনরতদের অর্থ সাহায্য দেয়া পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন ও অজ্ঞাতপরিচয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং অনশনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন।

সেদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সব দাবি মেনে নেয়া এবং উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। ১২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এই আশ্বাসের প্রায় নয় মাস পর মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সাবেক ৫ শিক্ষার্থী।

এ বিভাগের আরো খবর