ভোলার চরফ্যাশনে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া গ্রামে বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাই মো. ছিদ্দিক ওই গৃহবধূর শ্বশুর মো. কাজলকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে।
এ ছাড়া আক্তার হোসেনকে প্রধান আসামি করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে।
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বজনদের বরাতে তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে চর মানিকা ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের কাজলের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে আকতারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কুলসুমের। তাদের আড়াই বছর বয়সের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে সাইফুল নানা অজুহাতে যৌতুক হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। মেয়ের সংসারের সুখের জন্য বাবা মজিদ হাওলাদার দুই লাখ টাকা জামাতার হাতে তুলে দেন।
এরপরও সাইফুল প্রায়ই স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন। এ নিয়ে তাদের সংসারের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। মঙ্গলবার রাতে সাইফুল ফের এক লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। এ নিয়ে সাইফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা গভীর রাতে কুলসুমকে মারধর ও অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে পিটিয়ে মাথায় জখম করে রক্তাক্ত করেন।
স্বামী আকতারের বাড়িতে কুলসুমকে দফায় দফায় মারধরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকেলে তার মৃত্যু হয়। নিহত কুলসুম রসুলপুর ইউনিয়নের উত্তর আইচা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
ওসি সাখাওয়াত জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় তার শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে।