বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুরি করে ৯৯৯ নম্বরে কল, উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৫৮

মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ধরা পড়ে গেলে স্থানীয়দের হাতে মারধরের শিকার হতে পারেন এই ভয় থেকে ওই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যখন বন্ধ একটি দোকানের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তখন সে স্বীকার করেন পেশায় তিনি চোর। চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দে‌খি‌য়ে তাকে আদাল‌তে পাঠানো হ‌য়ে‌ছে।

চুরি করতে গিয়ে টেরই পাননি সূর্য উঠে গেছে, যখন বুঝতে পারলেন ততক্ষণে দোকানের সামনে অনেক মানুষের আনাগোনা। ব্যাগভর্তি চুরির মালামাল নিয়ে বের হতে গেলে ধরা পরে গণধোলাইয়ের শিকার হতে পারেন- এমন শঙ্কায় সাহায্য চান জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে।

পুলিশ এসে বিপদে পড়া লোকটিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না, যখন পেলেন তখন তার চোখ ছানাবড়া। সহায়তাপ্রার্থী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করা হয়।

এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদরের চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজার এলাকায়।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি ৪১ বছর বয়সী ইয়াছিন খান। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা হলেও বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ধরা পড়ে গেলে স্থানীয়দের হাতে মারধরের শিকার হতে পারেন- এই ভয় থেকে ওই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যখন বন্ধ একটি দোকানের মধ্য থেকে তাকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তখন স্বীকার করেন পেশায় তিনি চোর। চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দে‌খি‌য়ে তাকে আদাল‌তে পাঠানো হ‌য়ে‌ছে।

ওসি বলেন, ‘ভোরে জরুরিসেবা থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসে চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজার এলাকায় বিপদে পড়েছেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি জরুরি সেবার কনফারেন্সের মাধ্যমে থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গেও কথা বলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে মোবাইলে কল করে জানা যায় সে ঝন্টু মিয়ার দোকানের মধ্যে।’

দোকান থেকে বের হতে তার অসুবিধা কোথায় জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যদের ইয়াছিন খাঁ বলেন, ‘চুরির মালামাল গুছিয়ে ব্যাগ ভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগেছে। সময় গড়িয়ে সকাল হয়ে গেছে। লোকজন দোকানের পাশে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় সেখান থেকে বের হলে মারধরের শিকার হত। এ জন্য বুদ্ধি করে ৯৯৯ নম্বরে কল করেছে।’

দোকান মালিক ঝন্টু বলেন, ‘পুলিশ আমার দোকানের কাছে এলেও কিছুই অনুমান করতে পারিনি। পরে তার মধ্য থেকে একজনকে বের করায় বুঝতে পারি চোর ধরেছে। পরে জানতে পারি ওই চোর ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চেয়েছে।

‘দোকানের মালামাল যায়নি কিছুই। তবে সবকিছু এলোমেলো করে রেখেছে। ভালো ভালো জিনিস ব্যাগে ভরেছিল। কিন্তু নিতে পারেনি।’

চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯ নম্বরে কল করে নিজেকে ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে এক চোর বলে জেনেছি। এই ঘটনা এখন সবখানে আলোচনা হচ্ছে। যে শুনছে সেই অবাক হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর