বরিশালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ কারসাজির অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচনের সদস্যপ্রার্থী সাবেক ২ ছাত্রলীগ নেতা।
এ অভিযোগে নতুন করে ভোট গণনার দাবি জানিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে আবেদনও করেছেন বাকেরগঞ্জের সদস্যপদ প্রার্থী ও বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র কর্মপরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ মুন্না।
বুধবার সকালে এ আবেদন করেন তিনি।
এ ছাড়া সাবেক হওয়া আরেক ছাত্রলীগ নেতাসহ আরও ২ প্রার্থী একই অভিযোগে নতুন করে ভোট গণনার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ফয়সাল আহমেদ মুন্না লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নির্বাচনে তার প্রতীক ছিল ব্যাট। ভোট গণনা শুরুর পর তার এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়। পরে একটি অদৃশ্য কারণে ইভিএম মেশিন আপডেটের কথা বলে গণনা বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তার এজেন্টকে না ডেকেই আবার ভোট গণনা শুরু হয়।
মুন্না লিখেছেন, ‘আমি ভোট গণনার সময় প্রবেশ করতে চাইলেও আমাকে দেয়া হয়নি। পাশাপাশি ভোটার ফলাফলের শিটে সময় ২টা ১৫ মিনিট উল্লেখ করা হলেও ফলাফল ঘোষণা করা হয় ২টা ৪০ মিনিটে। যার তথ্য সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করলে পাওয়া যাবে। ২টার পর থেকে ২টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ইভিএম-এ কারসাজি করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমি ভোট পুন:গণনার দাবি জানাচ্ছি।’
শুধু মুন্নাই নন, একই অভিযোগ অপর প্রার্থী বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম খানের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বেলা ২টায় ইভিএম মেশিন শাটডাউন করা হয়। ২টা ২০ মিনিটে মেশিন ওপেন করার পরে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রে দুটি বুথ ছিল। তবে প্রার্থীদের এজেন্ট নেয়া হয়েছে মাত্র একজন। যার কারণে একজন এজেন্টের পক্ষে দুই কক্ষের দুই মনিটরের ফলাফল নেয়া সম্ভব নয়। আর এই সুযোগে ভোটার ফলাফলে কারসাজি করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেব।’
টিউবওয়েল প্রতীকের অপর সদস্যপদ প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘ভোট গণনায় সমস্য হয়েছে। আমিও আগামীকাল নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেব। পাশাপাশি নতুন করে ভোট গণনার দাবি জানাবো।’
এ বিষয়ে বরিশালের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এখন রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ হবে না। তাকে জেলা জজকে প্রধান করে গঠিত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে হবে।’