বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ মিনিট ছাত্রকে পেটালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ২১:৪০

‘পড়া পাড়ি নাই বলে আমাকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে পিটাইছে। ওই হুজুর আরও অনেক ছাত্রকে আগেও মারছে। আবার বলছে কাউরে বলতে না। পরে মা মাদ্রাসায় আসছে।’

কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের বেদম মারধরের সমালোচনার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় ১১ বছর বয়সী এক ছাত্রকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট একনাগারে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির মা মাদ্রাসায় গিয়ে সব জানতে পারেন। এরপর তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেন।

ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানী নগর মাদ্রাসায়। ভুক্তভোগী ছাত্র হলেন হাফেজ বিভাগের আবদুল্লাহ তলহা। তার বাবা-মা পুলিশ নিয়ে মাদ্রাসায় গেলেও শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।

তলহা জানায়, সাইফুল ইসলাম গত ১৬ অক্টোবর তাকে পড়া দিয়েছিলেন। ঠান্ডা ও জ্বর থাকায় পড়তে পারেনি সে।

‘পড়া পাড়ি নাই বলে আমাকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে পিটাইছে। ওই হুজুর আরও অনেক ছাত্রকে আগেও মারছে। আবার বলছে কাউরে বলতে না। পরে মা মাদ্রসায় আসছে’- বলে শিশুটি।

তালহার তার বাবা আবদুল হালিম অপু একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা। তাদের বাড়ি সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে সোনারপুর এলাকায়।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেউ আমাদের জানায়নি। ১৮ অক্টোবর আমার স্ত্রী মাদ্রাসায় ছেলের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখে স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না। পরে জিজ্ঞেসা করলে সে পুরো ঘটনা বলে।

‘আমার স্ত্রী ছেলের পায়জামার কাপড় সরিয়ে দেখেন নির্যাতনের নির্মমতা। পরে ছেলেকে নিয়ে কাঁচপুরের বাসায় ফিরে আসে।’

আবদুল হালিমের অভিযোগ, সাইফুল ইসলাম তার ছেলেকে নির্যাতনের পর পরিবারের কাউকে জানাতে নিষেধ করেছেন। এই পিটুনির পর তাকে ৩ দিন কেবল নাপা ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও কোনো কিছু জানায়নি।

ছেলের চিকিৎসা শেষে শিক্ষক সাইফুলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান তলহার বাবা।

শিশুটির ছবি ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ছবিতে দেখা গেছে, পাঞ্জাবি পরা শিশুটির শরীরে অসংখ্য বেত্রাঘাতের চিহৃ।

ঘটনার নিয়ে জানতে চাইলে মাদানী নগর মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘ঘটনাটি অজানা ছিল। মঙ্গলবার তার মা আসার পর ঘটনাটি জানতে পারি ও মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ও মোহতামিমকে জানাই।

মাদ্রাসার মোহতামিম ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘বুধবার ওই অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ মাদ্রাসায় ছাত্রদের পেটানো নিষেধ। তবে তিনি কেন করলেও তাও আমরা জানি না।’

মাদ্রাসায় যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরির্দশক শহিদ উল্লাহ জানান, ‘ওই শিক্ষকই শিশুছাত্রটিকে পিটিয়ে আহত করেছেন, এর সত্যতা পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরাও তার বিচার দাবি করেছেন। তবে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম পলাতক তাকে পাওয়া যায়নি। শিশুটির বাবা থানায় মামলা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর