বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় এডিসের লার্ভা পেয়ে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জরিমানা

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ২০:০৫

সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের প্রথম দিনে উত্তর সিটির ১০টি অঞ্চলে একযোগে অভিযান চালিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০টি মামলায় ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

এডিস নির্মূলে বুধবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে উত্তর সিটি। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের প্রথম দিনে উত্তর সিটির ১০টি অঞ্চলে একযোগে অভিযান চালিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন মগবাজার এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা অভিযানের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পুরো দেশেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অক্টোবর মাসেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এসব কারণে এডিস মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সবাইকে এডিস মশা নিধনে সচেতন হতে হবে। সিটি করপোরেশন নিয়মিত এডিস নিধনে কাজ করছে। নগরবাসীকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কারও বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মূলত বাসাবাড়িতেই এডিস মশার জন্ম হয়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’

সেলিম রেজা জানান, ডিএনসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলেই অভিযান চলছে।

এসময় মগবাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ৫টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন কারওয়ানবাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী, রূপনগর ও শাহআলী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১২ নম্বর সেক্ট্রর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ২টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। দুই ভবন মালিককে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অঞ্চল-৮ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটারা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ৭টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৫টি মামলা করা হয়।

অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ছোলমাইদ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেতের অভিযানে ২টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর