বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কালীগঞ্জে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ, মামলা নিতে ওসির গড়িমসি

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:৪৪

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রিপন ও কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এম আই লিকনের নির্দেশে রায়হান শরীফকে বেদম মারধর শেষে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক যুবককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবাসহ লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগী ওই যুবক।

বুধবার জয়দেবপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীর বাবা মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী যুবক মোহাম্মদ রায়হান শরীফ।

তিনি বলেন, ‘১৫ অক্টোবর দুপুরে আমি কালীগঞ্জ বাজারে একটি কম্পিউটারের দোকানে বসে ছিলাম। তখন কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রিপনের অনুসারী সুজন সুকুমার ও ফয়সাল আহমেদ সরকার ফোন করে আরও ৮-১০ জনকে ডেকে আনেন।

‘তারা আমাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে কাউন্সিলর রিপনের কার্যালয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে সেখান থেকে কাউন্সিলর রিপনের নির্দেশে আমাকে হত্যার উদ্দেশে কালীগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে নির্জন শ্মশান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

‘তারা শ্মশান ঘাটেও আমাকে কাঠ ও রড দিয়ে উপর্যুপরি পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে ফোনে যুক্ত থাকা কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এম আই লিকনের নির্দেশে আমার হাত-পা বেঁধে মাঝনদীতে ফেলে দেয়ার জন্য ট্রলারে তোলা হয়। এ সময় স্থানীয় এক সংবাদকর্মী বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই।’

রায়হান আরও বলেন, ‘সেদিন প্রাণে বাঁচলেও পুনরায় ওই কাউন্সিলরের কার্যালয়ে নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও এবং ফাঁকা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরে আমাকে আবার কালীগঞ্জ থানায় নেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা থানায় যান।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেহউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেয়ার পরও ওসি আনিসুর রহমান আমাকে চেয়ারে বসতে দেননি। এমনকি আমার সামনেই ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। এক পর্যায়ে সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর রেখে আমাদেরকে থানা থেকে বের করে দেন ওসি।’

অভিযোগে বলা হয়, ‘থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওইদিন রাত ৮টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় রায়হানকে। কিন্তু হামলাকারীরা ওই হাসপাতালে গিয়ে মহড়া দেয়ায় ভয়ে গাজীপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে রায়হানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

‘উল্লিখিত বিষয়ে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে ১৫ অক্টোবর কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলা গ্রহণ করেননি ওসি।’

অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর আশরাফুল আলম রিপন বলেন, ‘রায়হান মিথ্যাবাদী। সে বিভিন্ন সময়ে মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করে। তাকে কেউ মারেনি, সে এক্সিডেন্ট করে ব্যথা পেয়েছে।’

রায়হানকে পেটানোর বিষয়টি স্বীকার করে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এম আই লিকন বলেন, ‘রায়হান শিবির কর্মী। সে বিভিন্ন সময়ে সরকারের সমালোচনা করে থাকে।’

কালীগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাকে নয়, তার ছেলে রায়হানকে বের করে দেয়া হয়েছিল। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

এ বিভাগের আরো খবর