বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওসমানীনগরের সেই প্রবাসী পরিবারের আরও একজনের মৃত্যু

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:২৮

ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, ‘তিনি (হোসনে আরা) গত জুলাইয়ের ঘটনার জেরেই মারা গেছেন নাকি অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত নই।’

সিলেটের ওসমানীনগরের ভাড়া বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা প্রবাসী পরিবারের আরও এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ঘটনার প্রায় তিন মাস পর। এ নিয়ে পরিবারটির চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে বুধবার ভোরে মারা যান হোসনে আরা বেগম। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ভাই গোলাম মোস্তফা।

এর আগে ঘটনার পর একে একে মৃত্যু হয়েছিল হোসনে আরার স্বামী রফিকুল ইসলাম, ছেলে মাইকুল ইসলাম ও মেয়ে সামিরা ইসলামের। এখন পরিবারটির একমাত্র সদস্য হিসেবে বেঁচে আছেন হোসনে আরার বড় ছেলে সাদিকুল ইসলাম।

গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ২৫ জুলাই অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর আমার বোন ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও তার শরীরে অনেক জটিলতা রয়ে গিয়েছিল। ৪ থেকে ৫ দিন আগে শরীর বেশি খারাপ হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি আজ ভোরে মারা যান।’

ওসমানীনগরের তাজপুরে একটি বহুতল ভবনের দোতলার ফ্ল্যাট থেকে গত ২৫ জুলাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারটির পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর রফিকুল ও তার ছোট ছেলে মাইকুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ১১ দিন পর হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রফিকুলের মেয়ে সামিরা মারা যায়।

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ৩ আগস্ট রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা ও বড় ছেলে সাদিকুলকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, ‘তিনি (হোসনে আরা) গত জুলাইয়ের ঘটনার জেরেই মারা গেছেন নাকি অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত নই।’

ওই প্রবাসীদের উদ্ধারের পর পুলিশের ধারণা করে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। তবে পরবর্তীতে তদন্ত ও মেডিক্যাল রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি। বাইরে থেকে কেউ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও কোনো তথ্য মিলেনি।

এসপি জানান, ঘটনার রাতে দীর্ঘ সময় জেনারেটর চালু থাকায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পেরে দমবন্ধ হয়ে তারা অসুস্থ হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর