বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিএনপির সমাবেশ জনসমুদ্র: মঈন খান

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:২৭

মঈন খান বলেন, ‘সরকার শত বাধা দিয়েও মানুষকে আটকে রাখতে পারছে না। এর একটাই কারণ, দেশের মানুষ সরকারের জুলুম অত্যাচার মানে না। দেশের মানুষ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি চায়। এই মুক্তি শুধু বিএনপির জন্য নয়, এই মুক্তি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য।’

দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের অনেক জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে। এখন মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আর এ কারণেই বিএনপির প্রতিটি গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মঈন খান।

আগামী ২০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিলেট নগরীর একটি হোটেলে বুধবার দুপুরে এ সভা হয়।

মঈন খান বলেন, ‘সরকার শত বাধা দিয়েও মানুষকে আটকে রাখতে পারছে না। এর একটাই কারণ, দেশের মানুষ সরকারের জুলুম অত্যাচার মানে না। দেশের মানুষ জুলুম থেকে মুক্তি চায়। এই মুক্তি শুধু বিএনপির জন্য নয়, এই মুক্তি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য।’

মঈন খান বলেন, ‘সিলেটের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। কর্মজীবনে সিলেটে কাজ করেছি। পূণ্যভূমি সিলেট রাজনৈতিক কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করেছেন। নেত্রীর সেসব সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হতো। ইনশাআল্লাহ আগামী ২০ নভেম্বরের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে পরিণত হবে।’

চলমান আন্দোলনে বিএনপির ৫ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এসব হত্যার বিচার করা হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় ফুরিয়ে এসেছে। মানুষ রাজপথে নেমেছে। এবার আর স্বৈরাচারী সরকারের রেহাই নেই।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে মানুষের ঢল নামছে। দেশবাসী আর এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সিলেটের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তরিত হবে।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। গণসমাবেশে এর প্রমাণ দেশবাসীকে দেখিয়ে দেয়া হবে।’

প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গৌছ, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও এমপি শাম্মি আক্তার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান।

উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, মিজানুর রহমান মিজান ও হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সালেহ আহমদ খসরু ও রোকশানা বেগম শাহনাজ, ফয়সল আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-১ আসনের নেতা নাসির উদ্দিন মিটু, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ।

এ বিভাগের আরো খবর