লালমনিরহাট সদরের একটি প্রাথমিক স্কুলে রামদা নিয়ে হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় এক যুবক। এতে আহত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, শিশু শ্রেণির এক শিক্ষার্থীসহ সাতজন। হামলাকারী নিজেও আহত হয়েছেন। পুলিশ তাকে আটক করেছে।
উপজেলার কালমাটি গুদামের চওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী যুবকের নাম কোরবান আলী; তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম এসব নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান শিক্ষক মো. সামসুজ্জামান লিজু নিউজবাংলাকে জানান, সকালে ক্লাস চলার সময় হঠাৎ রামদা হাতে নিয়ে দৌড়ে স্কুলে ঢুকে পড়েন কোরবান। চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘এটা আমার স্কুল, তোরা এখানে ক্লাস করিস কেন?’। এ কথা বলেই এলোপাতাড়ি ভাঙচুর চালাতে থাকেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। এর মধ্যেই আহত হয় শিশু শ্রেণির এক ছাত্র।
প্রধান শিক্ষক আরও জানান, একপর্যায়ে তার কক্ষে ঢুকে তাকে কোপাতে তেড়ে আসেন কোরবান। বাধা দিতে গেলে আহত হন সহকারী শিক্ষক রেহেনা পারভীনসহ স্থানীয় কয়েকজন। পরে এলাকাবাসী কোরবানকে আটকে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
সামসুজ্জামান লিজু এখন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সামসুজ্জামান বলেন, ‘কেন হামলা করল তা বুঝে উঠতে পারিনি। হামলাকারীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। হঠাৎ করে আমার রুমে ঢুকে হামলা চালায় আর বলে এটা আমার স্কুল তোমরা কেন ক্লাস করাও। ভাগ সব ভাগ বলে আর দৌড়াতে থাকে। তখন আমার সহকর্মীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলে হামলা ছোট করে দেখার কিছু নেই। হামলাকারীর শাস্তি হতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ওপরমহলে জানানো হবে।’
এ বিষয়ে ওসি এরশাদুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হামলাকারী যুবক একজন পাগল। তার বড় ভাইও পাগল। সে প্রায়ই ওই এলাকায় মানুষের ওপর চটে গিয়ে হামলা চালায়। তবে গ্রামবাসী ওই ঘটনার সময় কোরবান আলীকে আটকে পুলিশে দেন।
‘হামলার সময় সে-ও আহত হওয়ায় তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে স্কুলের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’