বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাস বন্ধে উদ্বিগ্ন নয় খুলনা বিএনপি, সমাবেশে ‘জনসমুদ্রের’ আশা

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:৩৬

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান বলেন, ‘সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক এই সমাবেশ আটকাতে পারবে না। মানুষের জোয়ার হবে। এই বিভাগের মানুষ সাঁতার কেটে হলেও সমাবেশে আসবে।’

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২২ অক্টোবর খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। তবে সমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণাকে সরকারের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

নেতারা বলছেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ‘পায়ে হেঁটে কিংবা সাঁতার কেটে’ লক্ষাধিক নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘আমাদের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে। যতই বাধা আসুক, বিপত্তি আসুক, গাড়ি বন্ধ করা হোক পায়ে হেঁটে হলেও লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসবে এই সমাবেশে। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের চেয়েও বেশি লোকের সমাবেশ খুলনায় হবে বলে আমরা আশাবাদী। বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসার জন্য মানুষ রেডি হয়ে আছে।’

খুলনার কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াসহ দেশজুড়ে বিএনপি নেতাদের হত্যা নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশ সার্বিক প্রস্তুতি জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘সমাবেশ সফল করতে নানা প্রস্তুতি চলছে। কেবল খুলনা মহানগর ও জেলায় নয়, লাখো জনতার এই সমাবেশ সফল করতে বাকি ৯ জেলায়ও সর্বাত্মক প্রয়াস চলছে। সমাবেশস্থল হিসেবে খুলনা শহরের সোনালী ব্যাংক চত্বরকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সমাবেশে মাইক ব্যবহার ও প্রচারের জন্য অনুমতি দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।’

এ সময় খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান বলেন, ‘সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক এই সমাবেশ আটকাতে পারবে না। মানুষের জোয়ার হবে। এই বিভাগের মানুষ সাঁতার কেটে হলেও সমাবেশে আসবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘরবন্দি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে। তিনি সরকারের ষড়যন্ত্রে দেশে আসতে পারছেন না। এদিকে সরকার দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। তাই দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সমাবেশটিকে ব্যর্থ করে দিতে সরকার নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। গত দুই দিনে যশোর থেকে বিনা পরোয়ানায় আমাদের ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাগেরহাট থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘বিভাগীয় এই সমাবেশে ১০ জেলার মানুষ হাজির হবেন। তবে সরকারের চাপে মালিক সমিতি বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। মানুষ একসময় হেঁটে মক্কায় গিয়ে হজ করত। আমাদের নেতাকর্মীরা দরকার হলে পায়ে হেঁটে এসে সমাবেশে যোগ দেবেন।’

সমাবেশ সামনে রেখে বন্ধ গণপরিবহন

সমাবেশকে সামনে রেখে ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন গত মঙ্গলবার রাতে যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত সমাবেশের কারণে নয় বলে দাবি করছেন খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব।

তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে এখন দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও নছিম। আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে জানিয়ে আসছি খুলনাঞ্চলের মহাসড়কে এসব যান চলাচল বন্ধ করতে। তবে প্রশাসন কখনও আমলে নিচ্ছে না। তাই ২০ অক্টোবরের মধ্যে মহাসড়কের সব তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। নতুবা ২১ ও ২২ অক্টোবর আমাদের সকল গণ পরিবহন বন্ধ থাকবে।’

তবে বিএনপি নেতারা মনে করছেন, তাদের গণসমাবেশকে বানচাল করতেই সরকারের চাপে মালিক সমিতি গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

খুলনা মহানগরীর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘সমাবেশ কেন্দ্র করে গণ পরিবহন বন্ধ করা হবে, এটা আমরা পূর্বেই ধারণা করেছিলাম। বিষয়টি মাথায় নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীদের যে কোনোভাবে সমাবেশ আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে। নেতাকর্মীরা আগেই এসে খুলনা শহরের হোটেল ও নিকটাত্মীয়দের বাসায় অবস্থান নেবেন। সরকারের সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে জনসমুদ্রের জোয়ার হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

এ বিভাগের আরো খবর