দুধের বদলে সয়াবিন তেল, ডালডা ও কেমিক্যাল দিয়ে ‘ঘি’ বানিয়ে বিএসটিআইয়ের নকল লোগো জুড়ে দিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। মোড়কের গায়ে বিএসটিআইয়ের নকল সিল লাগানো হয়েছে ক্রেতাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য। এগুলো যে নকল ঘি, সেগুলো গ্রাহকের পক্ষে চেনার কোনো উপায়ই নেই।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ওই ভেজাল ঘি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিএমপির ওয়ারী বিভাগ। কারখানা থেকে ১২০ লিটার সয়াবিন তেল, মেশিন ও ডালডাসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির ডিবি ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ হোসেন।
তিনি বলেন, এসব নকল ঘি নিউ ফ্রেশ গাওয়া ঘি, ফেমাস স্পেশাল গাওয়া ঘি, স্পেশাল বাঘাবাড়ী ঘি ও আড়ং ঘিয়ের মোড়কে বাজারে ছাড়া হতো।
আশরাফ হোসেন বলেন, ‘কারখানাটিতে অভিযানে গিয়ে দেখেছি সেখানে সয়াবিন, ডালডা ও বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল ঘি। আসামিরাও স্বীকার করেছে, তারা নকল ঘি তৈরি করছিল।’
নকল ঘি কোন কোন এলাকায় বেশি সরবরাহ করা হতো- এমন প্রশ্নে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামিদের রিমান্ডে এনে আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করব। আমরা জানার চেষ্টা করব, কাদের কাছে ঘি সাপ্লাই হতো এবং কারা কারা তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে বিক্রি করত।’
ক্রেতারা নকল ঘি কিভাবে চিনবে প্রশ্ন করা হলে এই ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রাহক পর্যায়ে এই নকল ঘি চেনার কোনো উপায় নেই। নামি-দামি ব্র্যান্ডের ঘিয়ের হুবহু একই আদলে নকল ঘি প্যাকেট জাত করা হয়। এজন্যই এইটা এখন চিন্তার বিষয়।
‘যেসব বড় বড় দোকানিরা এসব ঘি বিক্রি করছেন তাদেরকেও আমরা সন্দেহের তালিকায় রেখেছি।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে ডিবির ওয়ারী বিভাগ।