বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যার ২৬ বছর পর স্বামীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৫:৩৩

আইনজীবী জানান, ১৯৯৮ সালের ৫ জুন মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। এর মাঝে মামলার আরেক আসামি গোলাপের বাবা জহুরুল হক মারা যান। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার প্রায় ২৬ বছর পর স্বামীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) নাছিমুল করিম হলি নিউজবাংলাকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিতরা হলেন গোলাপ হোসেন, মো. জিল্লুর হোসেন ও ফরহাদ মণ্ডল। তারা সবাই বগুড়ার শেরপুরের বাসিন্দা। হত্যার শিকার চায়না খাতুন গোলাপের স্ত্রী ছিলেন।

আইনজীবী নাছিমুল জানান, ১৯৯৪ সালে বাবার অমতে শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের চায়না খাতুনকে বিয়ে করেন গোলাপ। তারা শেরপুরের মির্জাপুরে থাকতেন। বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের এক বছর পর বিচ্ছেদ হয় তাদের। বিচ্ছেদ হলেও চায়না ও গোলাপের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।

বিষয়টি গোলাপের পরিবার মেনে নিতে পারেনি। এ জন্য গোলাপকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। এসব কারণে সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন করতে চায়নাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন গোলাপ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ রাতে উপজেলার পালশান গ্রামে চায়নাকে ডেকে আনেন গোলাপ। সেখানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এতে সহযোগিতা করেন জিল্লুর ও ফরহাদ।

হত্যার পর মরদেহ ওই গ্রামের এক বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল সেখান থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে চায়নার পরিবার জামাকাপড় দেখে মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় সেদিনই চায়নার ভাই হাফিজার রহমান মামলা করেন।

এপিপি নাছিমুল আরও জানান, ১৯৯৮ সালের ৫ জুন মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ। এর মাঝে মামলার আরেক আসামি গোলাপের বাবা জহুরুল হক মারা যান।

দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর