বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ১২:২৪

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যেমন কোভিড মোকাবিলা করেছি, এই পরিস্থিতিও মোকাবিলা করতে পারব। সেখানে যে যা-ই বলুক না কেন, অনেকে সমালোচনা করবে, সেটা আমরা জানি, কিন্তু সেদিকে কান দিলে চলবে না। আমরা আমাদের যেটা দায়িত্ব দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি সে দায়িত্বটা আমরা পালন করে যাব।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া মন্দা পরিস্থিতিকে করোনাভাইরাস মহামারির মতো করে শক্ত হাতে মোকাবিলা করে দেশের মানুষকে স্বস্তি দেবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সমালোচনাকারীদের কথা কানে না নিয়ে, দেশ ও মানুষের প্রতি যে দায়িত্ব, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে চান বলেও জানান সরকারপ্রধান।

পাবনার ঈশ্বরদীতে বুধবার সকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রি-অ্যাকটর প্রেশার ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গণভবনপ্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যেমন কোভিড মোকাবিলা করেছি, এই পরিস্থিতিও মোকাবিলা করতে পারব। সেখানে যে যা-ই বলুক না কেন, অনেকে সমালোচনা করবে, সেটা আমরা জানি, কিন্তু সেদিকে কান দিলে চলবে না। আমরা আমাদের যেটা দায়িত্ব দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি সে দায়িত্বটা আমরা পালন করে যাব।’

বিদ্যুৎ ঘাটতির এ সময়ে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে আবারও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। তারাও প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের সাশ্রয়ের দিকে নজর দিয়েছে। বাংলাদেশ সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই। পৃথিবীটা এখন হচ্ছে একটা গ্লোবাল ভিলেজ। পৃথিবীতে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সে কারণেই পৃথিবীতে যখন অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যায়, তার ধাক্কাটা আমাদের ওপরেও এসে পড়ে। তাই আমাদের কিছুটা সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে।

‘তার মানে এই না, বিদ্যুৎ দেশের মানুষ পাবে না। বিদ্যুৎ মানুষ পাচ্ছে, পাবে, তবে এখানে সবাইকে একটু মিতব্যয়ী হতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হচ্ছে, আমরা বাধ্য হচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধ ঘিরে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণেই পৃথিবীতে এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি পৃথিবী এই রকম অবস্থা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবে।’

‘বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে সারা বিশ্বে আপনারা দেখবেন অনেক উন্নত দেশ, যেখানে মানুষের খাদ্যের জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গেছে, সেখানে বাংলাদেশে এখনও কিন্তু সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমরা কিন্তু মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি।

‘আমরা সাবসিডি দিয়েও এক কোটির বেশি মানুষের জন্য কার্ড করে ন্যায্য মূল্যে তাদের খাবার কেনার সুযোগ করে দিয়েছি। যারা একেবারেই কিনতে পারে না, তাদের বিনা পয়সায় খাদ্য দিচ্ছি।’

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০২৩ সালে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ প্রায়ই শেষ হয়ে এসেছে। হয়তো ২০২৩ সালের মধ্যেই প্রথম যে ইউনিট, সেখান থেকে হয়তো বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে। আমি সবাইকে বলব, দোয়া করেন, যেন এটা আমরা করতে পারি। ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু হওয়ার আশা রাখি।’

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কোনো ঝুঁকি না থাকার কথাটি আবারও দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে পরমাণু শক্তি থেকে যে বিদ্যুৎটা আসবে, এখন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন, আমাদের কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো রকম অ্যামিশন (নির্গমন) হবে না। কোনো রকম পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়বে না। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এটা মানুষকে দিতে পারব।’

দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। তা আমাদের দেশের কোনো রকম ক্ষতি করবে না; বরং আমাদের মানুষ খুব স্বচ্ছ একটা বিদ্যুৎ পাবে এবং যে বিদ্যুৎ তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রেখে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর