রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশ সমস্যায় পড়বে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তবে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতির কারণে বাংলাদেশে তেমন সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।
রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ শীর্ষক এক আলোচনা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সব দেশে স্থিতিশীলতা। আমরা সব সময় শান্তি চাই। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি যদি না থাকে, তখন সবাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। ইউরোপ-আমেরিকা যদি খারাপ থাকে তখন তারা আমাদের পণ্য কিনবে না। মধ্যপ্রাচ্য খারাপ থাকলে আমাদের লোকজন সেখানে কাজ করতে পারবে না।
‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশ সমস্যায় পড়বে। যুদ্ধের প্রভাবে সাপ্লাই চেইন, ফিন্যানসিয়াল চেইন সবগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সারা ইউরোপ যেমন ঝামেলায় পড়বে, অন্যান্য দেশও ঝামেলায় পড়বে। সামনের শীতে বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।’
শেখ রাসেল দিবসের আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্বে কেউ কেউ হিংসা, বিদ্বেষ আর ক্ষমতার লড়াইয়ে নেমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ কমাতে হবে। সে কারণে বিশ্বদরবারে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ।’
বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতির কথা জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক করেছেন। আমরা ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা করছি। জ্বালানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের অসুবিধা তত হবে না। আমরা আগেভাগেই পদক্ষেপ নিচ্ছি, যাতে কোনো ঝামেলায় না পড়ি।’
শেখ রাসেলের জন্মদিনে তাকে স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ রাসেলকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশেই এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। বিশ্বের সব শিশুকে বাঁচার অধিকার দিতে হবে। এটা করতে পারলেই শেখ রাসেল দিবস সার্থক হবে।’
শেখ রাসেল দিবসের আলোচনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ছবি: নিউজবাংলা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘প্রতিবছর দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে রাসেল দিবসের আলোচনা করি। বঙ্গবন্ধু বার্ট্রান্ড রাসেলের নাম অনুযায়ী সন্তানের এই নাম রেখেছিলেন। সেই সময়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী বলেই তার পুত্রের নাম রাখেন রাসেল।’