সংগঠনে পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেয়া আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনে সাড়া দেয়নি হাইকোর্ট।
রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদালত বলেছে, দুদক বিধিমালা ২০০৭-এর ১৩ বিধি অনুসারে এ বিষয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে উপযুক্ত আদালতে যেতে পারে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির প্যাডে লিখে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন জাতীয় পার্টি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়বর্হিভূত অর্থ ও সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রসঙ্গে’ শিরোনামে এই অভিযোগ জমা দেয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত মহিলা আসনে জাতীয় পার্টির মহিলা সংসদ সদস্য মনোনয়ন কার্যক্রমে ১৮ কোটি দশ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে চারজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
দলীয় পদ-পদবি ভাঙিয়ে ওই পরিমাণ টাকা ঘুষ গ্রহণের মূল সুবিধাভোগী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এছাড়া দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ব্যবহার করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
এসব বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেন ইদ্রিস আলী।