ফেনীর সোনাগাজীতে মাকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
দীর্ঘ ১৯ বছর পলাতক থাকা লাতু মিয়াকে সোমবার রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রপ্তার করা হয়।
২০০৩ সালে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সাজা পাওয়া আসামি তিনি। ৫৫ বছর বয়সী এই আসামির বাড়ি সোনাগাজী থানার নাজিরপুরে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালের ১৩ মে গভীর রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিধবা মাকে বেঁধে তার সামনে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। লাতু মিয়া, ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম ও কাশেম মিলে এই ধর্ষণ করে।
‘পরে শিশুটির মা পরদিন সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।’
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে লাতু, জাহাঙ্গীর ও কাশেম পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ১৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।’
তিনি জানান, মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই লাতু মিয়াসহ তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। আর ফারুককে খালাস দেয়া হয়।
২০০৩ সালে ধর্ষণের ঘটনার পর লাতুর পলাতক জীবন শুরু হয় উল্লেখ করে র্যাব ৩-এর অধিনায়ক বলেন, 'ঘটনার পর সে চট্টগ্রামে গিয়ে রিকশাচালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। নানা পেশায় থাকার পর অবশেষে মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর ঢাকায় একটি মাজারে আত্মগোপন করে লাতু মিয়া।'