বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সগিরা মোর্শেদ হত্যা: ফের পেছাল সাক্ষ্য

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৪৩

মঙ্গলবার মামলার সাক্ষ্য নেয়ার জন্য দিন ঠিক ছিল। তবে এই মামলার সাক্ষী সাদিয়া চৌধুরীর দেয়া সাক্ষ্যের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। একই সঙ্গে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য আবেদন করে। তাদের আবেদন বিবেচনায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ৩২ বছর আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে সগিরা মোর্শেদ নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর ঠিক করেছে আদালত।

মঙ্গলবার মামলার সাক্ষ্য নেয়ার জন্য দিন ঠিক ছিল। তবে এ মামলার সাক্ষী সাদিয়া চৌধুরীর দেয়া সাক্ষ্যের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। একই সঙ্গে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য আবেদন করে। তাদের আবেদন বিবেচনায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

আলোচিত এ মামলায় ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

৩২ বছর আগেকার আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান ও ভাড়াটে অপরাধী মারুফ রেজা। তাদের মধ্যে সায়েদাতুল মাহমুদা জামিনে আছেন। বাকি তিনজন কারাগারে।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

মামলায় বলা হয়েছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে নিতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছানোমাত্রই দুষ্কৃতকারীরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরার স্বামী সালাম চৌধুরী। প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করলেও গোয়েন্দা পুলিশ মিন্টু ওরফে মরণ নামে একজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

পরে আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তে বর্তমান আসামিদের নাম আসে।

১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। সাক্ষ্য নেয়া হয় সাতজনের।

সাক্ষ্যে বাদীপক্ষ থেকে বলা হয়, তদন্তের সময় আসামি মন্টু এবং তৎকালীন (১৯৮৯) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের নিকটাত্মীয় মারুফ রেজা গ্রেপ্তার হন। কিন্তু মারুফ রেজার নাম বাদ দিয়েই অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণ চলার সময় মারুফ রেজার নাম আসায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১৯৯১ সালের ২৩ মে মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় ঢাকার বিচারিক আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা রিভিশন আবেদন করেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটির অধিকতর তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি অধিকতর তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়।

পরের বছর ২৭ আগস্ট জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

এ মামলার সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা গত বছর বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের নজরে আনলে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।

এরপর বিষয়টি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে তোলা হয়। আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিলে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।

এ বিভাগের আরো খবর