বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া পাঠানো কনটেইনারে মরদেহ

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৪০

মরদেহ পাওয়া ৪০ ফুট লম্বা ওই কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া নিয়ে যায় ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ নামের জাহাজ। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সিনোকর শিপিং লাইনসের এই জাহাজের বাংলাদেশি এজেন্ট গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটস।

চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া পণ্যবাহী জাহাজের একটি খালি কনটেইনার থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ।

শুক্রবার মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

মরদেহ পাওয়া ৪০ ফুট লম্বা ওই কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া নিয়ে যায় ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ নামের জাহাজ। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সিনোকর শিপিং লাইনসের এই জাহাজের বাংলাদেশি এজেন্ট গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটস।

গ্লোব লিংক অ্যাসোসিয়েটসের তথ্য থেকে জানা গেছে, কনটেইনারটি বন্দরে আসে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে। ৪ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে কনটেইনারটি ডিপো থেকে বের করা হয়। ওই রাতেই বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালের চার নম্বর জেটিতে অপেক্ষমাণ এমভি সোয়াসদি আটলান্টিকে লোড করা হয়। এর এক দিন আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’।

৬ অক্টোবর ভোরে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায় জাহাজটি। পেনাং বন্দরে পৌঁছায় ৯ অক্টোবর। ১০ তারিখ পেনাং বন্দরে জাহাজ থেকে আনলোড করা হয় কনটেইনারটি। এর চার দিন পর ১৪ তারিখ সেটি পেনাং বন্দর থেকে বের করার সময় নিরাপত্তাজনিত তল্লাশিতে ভেতরে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ থাকার বিষয়টি জানা যায়। পরে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়া হলে তারা মরদেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় মালয়েশিয়ান পুলিশ এই বিষয়ে কিছু বলেনি।

অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘শনিবার কনটেইনারটির বিষয়ে খোঁজ নেয়ার কথা বলে আমাদের প্রিন্সিপাল (সিনোকর শিপিং লাইনস), আমরা খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাই তাদের। মালয়েশিয়ান পুলিশ এটা তদন্ত করছে, তারা এটা নিয়ে মুখ খুলছে না। আমাদের প্রিন্সিপাল জানালেন যে, তদন্ত শেষে বা তদন্তের প্রয়োজনে তারা (মালয়েশিয়ান পুলিশ) বাংলাদেশ পুলিশ বা অ্যাম্বাসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।’

সাধারণত ডিপো থেকে কনটেইনার বের করার সময়, বন্দরে প্রবেশের সময় এবং জাহাজে উঠানোর আগে দরজা খুলে দেখা হয়। বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে সেটি বের করার সময় দরজা খুলে দেখার কথা জানিয়েছেন ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আখতার খান।

তিনি বলেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর কনটেইনারটি ডিপোতে নিয়ে আসা হয়। এরপর ৪ অক্টোবর বের করা হয়। এর মধ্যে ওই কনটেইনারের মালিকের এজেন্ট এটি ওয়াশও করেছে। তা ছাড়া ডিপোতে কনটেইনার নিয়ে আসা ও বাহির করার সময় দরজা খুলে সার্ভে করা হয়। আমরা ছবিও তুলে রাখি। ওই কনটেইনারটি খালি ছিল, ছবিও আমরা তুলেছিলাম। তা ছাড়া বন্দরে ঢোকানোর আগে সব কনটেইনার দরজা খুলে যাচাই করে।’

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাওয়া কনটেইনারে মরদেহ এলো কীভাবে- এই বিষয়ে জানতে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর