হেঁটে নেপাল-ভারত-শ্রীলঙ্কার পর এবার বাংলাদেশ ভ্রমণ করছেন নেপালি যুবক ‘ই’।
বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে শুরু করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া পর্যন্ত হেঁটে যাবেন তিনি। হাঁটাতে মানুষকে সচেতন করতেই ২৮ বছর বয়সী নেপালের কাঠমান্ডুর এই যুবকের এমন উদ্যোগ।
বাংলাদেশে তার এক হাজার কিলোমিটার হাঁটলে চার দেশে ১৪ হাজার কিলোমিটার হাঁটা পূর্ণ হবে তার। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সাড়ে ৭০০ কিলোমিটার হাঁটা হয়েছে তার।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় নীলফামারী জেলা শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বাংলাদেশে হাঁটা কর্মসূচিতে তার সঙ্গে টাঙ্গাইল থেকে যোগ দিয়েছেন আলোকচিত্রী ও লেখক হোমায়েদ ইসহাক মুন। তিনিও তেঁতুলিয়া পর্যন্ত যাবেন তার সঙ্গে।
এদিকে হাঁটা কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নীলফামারীর দৌড়বিদ নীলফামারী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপকসহ আরও কয়েকজন।
চার দিন পরই তেঁতুলিয়ায় পৌঁছাবেন তারা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছান ‘ই’।
ই বলেন, ‘প্রতিদিন ২২ থেকে ২৫ কিলোমিটার হাঁটছি আমি। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ আমি। সুস্থ থাকতে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। বাংলাবান্ধা হয়ে নেপাল গিয়ে পরবর্তী দেশ নির্বাচন করব।’
তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র নেপাল হেঁটে ভ্রমণ করেছেন তিনি। ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কারগিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ভারত ভ্রমণও শেষ করেছেন। সেখানে এক মাস বিশ্রামের পর শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রবেশ করেন।
হাঁটা কর্মসূচির সহযোদ্ধা হোমায়েদ ইসহাক মুন বলেন, ‘এভারেস্ট পর্বতে গিয়ে ই এর সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। সেই সুবাদে বাংলাদেশ এলে আমাকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটা কর্মসূচি শুরু হয় তার। অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ ইর। সুস্থ থাকতে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। সবাই যদি হাঁটার অভ্যাস করি তাহলে রোগমুক্ত থাকা যায়।’
ই-এর উদ্যোগকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইবতিদা রহমান শীর্ষ বলেন, ‘আমি অভিভূত। তিনি আমাদের মেসেজ দিয়ে যাচ্ছেন। আমিও উদ্বুদ্ধ হয়েছি তার এই হাঁটায়। আমিও এখন নিয়মিত হাঁটব।’
নীলফামারী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুল করিম বলেন, ‘ই একজন প্রতীক। তাকে অনুসরণ করে আমরাও উদ্যোগী হতে পারি। নীলফামারীতে অনেকে হাটঁছেন, যারা হয়তো অনেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, কিন্তু শুধুই তারা হাঁটবেন।
‘আমি মনে করি, সবার হাঁটার অভ্যাস করা দরকার। আমি নিজে নিয়মিত দৌড়াই। আমাকে দেখে অনেকে দৌড়ানো শুরু করেছেন। আমি বলব, আসুন সবাই হাঁটি ও দৌড়াই।’