নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবিড় পর্যবেক্ষণে সারা দেশে জেলা পরিষদের ভোট হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়ে টানা বেলা ২টা পর্যন্ত চলে।
ভোট শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রেস ব্রিফ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেছেন, ‘দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে হয়েছে। শুরু থেকেই আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে সহিংসতা-গোলযোগ-গন্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। কেন্দ্রগুলো থেকে যে তথ্য পেয়েছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’
ইসি জানায়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৬০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোট গণনা শেষে বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন।
নিউজবাংলার প্রতিবেদক ও বাসসের খবর-
চট্টগ্রাম: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ হাজার ৫৬৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।
বিকেলে ভোট গণনা শেষে এই ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। তিনি জানান, পেয়ারুলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত মোটরসাইকেল প্রতীকে ১১৪ ভোট পেয়েছেন।
জেলার ১৫ উপজেলায় ১৫টি সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৬ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৫টি পদে প্রার্থী ছিলেন ২২ জন। তিনটি সাধারণ সদস্য পদে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) ওয়ার্ডে প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ওয়ার্ডে কাজী আবদুল ওহাব ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ওয়ার্ডে আবুল কাশেম চিশতী।
গাজীপুর: শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদের ভোট হয়েছে। বিকেলে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, গাজীপুরে জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোতাহার হোসেন মোল্লা ৩৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মোকসেদ আলম পেয়েছেন ২৯৪ ভোট। নির্বাচনে ৫টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৬৩৬ জন। তাদের মধ্যে ৬২৮ জন ভোট দিয়েছেন।
২টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে মাহমুদা ইয়াসমিন ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে উম্মে কুলসুম শিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন। ৫টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে দেলোয়ার হোসেন, আমিনুর রহমান, আনিছুর রহমান আরিফ ও আবদুস ছালাম নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোর্ত্তজা রশিদী দারা। বেলা ৩টার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার এই ফল ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ: জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি চন্দন শীল জেলা এবং ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনটি সাধারণ সদস্য পদ ও দুটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচন হয়। এই পাঁচ পদের জন্য লড়েন ১৯ প্রার্থী। তাদের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুম আহমেদ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আবু নাঈম ইকবাল জয়ী হয়েছেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশন এলাকায় দুজন প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় লটারি হবে।
সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাদিয়া আফরিন ও সিমা রানী পাল।
কুষ্টিয়া: জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ৯৪২ ভোটের মধ্যে তিনি ৭৩২ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন পেয়েছেন ২০০ ভোট।
কুড়িগ্রাম: জেলা পরিষদ ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। ৯টি উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৩টি। ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থী ছিলেন ৩৬ জন। তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। এর আগে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে তিনটি মহিলা সংরক্ষিত পদে মধ্যে ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী থেকে মাসুদা ডেইজি, কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও উলিপুর থেকে শিউলী বেগম এবং চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজীবপুর উপজেলা থেকে আরমিন নাহার নির্বাচিত হয়েছেন।
৯ উপজেলায় বিজয়ীরা হলেন কুড়িগ্রাম সদরে মিনহাজুল ইসলাম আইয়ুব, উলিপুরে মো. জুয়েল, রাজারহাটে এনামুল হক, ভূরুঙ্গামারীতে মো. জহির উদ্দিন, নাগেশ্বরীতে একরামুল হক বুলবুল, ফুলবাড়ীতে মনোয়ারা বেগম, চিলমারীতে মো. জামিনুল হক, রৌমারীতে হারুনুর রশীদ, রাজীবপুরে মো. সোহেল।
নীলফামারী: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মমতাজুল হক। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট।
বগুড়া: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮৭৪ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হয়েছেন ডা. মকবুল হোসেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হন তিনি। নড়াইল: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ১৭৮ ভোট।
গাইবান্ধা: জেলা পরিষদে ৫৫৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) আতাউর রহমান সরকার পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট।
বিকেল ৪টার দিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান এ ফল ঘোষণা করেন।
মাগুরা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পংকজ কুমার কুন্ডু ৩৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শরিয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া পেয়েছেন ১২৪ ভোট ।
দিনাজপুর: জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১৬২ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২২৬ ভোট।
নাটোর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সাজেদুর রহমান খান চশমা প্রতীকে ৫৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির ড. মো. নুরুন্নবী মৃধা ঘোড়া প্রতীকে ২৪৭ ভোট পেয়েছেন।
নরসিংদী: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬২২ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনির হোসেন ভূইয়া (আনারস) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল মতিন ভূইয়া (কাপপিরিচ) পেয়েছেন ৩৫০ ভোট।
মেহেরপুর: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস সালাম (কাপপিরিচ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৬২ ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত মোট ভোট ১৭৭। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি গোলাম রসুল পেয়েছেন ১১৫ ভোট।
জয়পুরহাট: নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা জয়পুরহাট সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলম (আনারস) ৩৯১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাসদের সভাপতি আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন (তালগাছ) পেয়েছেন ৯৬ ভোট।
যশোর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল (ঘোড়া) ৯৫৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মারুফ হোসেন কাজল (আনারস) পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট।
হবিগঞ্জ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান প্রশাসক ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯৬১। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীকে পান ৭৭ ভোট।
ঝিনাইদহ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম হারুন অর রশিদ আনারস প্রতীকে ৪৭৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস তার চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৩ ভোট।সুনামগঞ্জ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮ ভোটের ব্যবধানে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সমর্থিত ড. খায়রুল কবির রুমেন পেয়েছেন ৬০৪ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮২২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আলম এমএসসি (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫৩ ভোট।
পঞ্চগড়: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হান্নান শেখ। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে ২৮৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম আবু তোয়বুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।
ময়মনসিংহ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান (আনারস) প্রতীক নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চশমা) প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৪৫ ভোট ।
সাতক্ষীরা: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬০৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খলিলুল্লাহ ঝড়ু চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট।
গোপালগঞ্জ: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুন্সী আতিয়ার রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন।
ফরিদপুর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহাদাৎ হোসেন। তিনি ৬২৫ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. ফারুক হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৫৪০।
লালমনিরহাট: জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মতিয়ার রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পাটগ্রামে সোমবার ভোট শেষে ফল ঘোষণা হয়েছে। এতে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী ও কালিগঞ্জ আংশিক এ সংরক্ষিত সদস্য পদে মেহেরুন নাহার মেরী এবং পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জের আংশিকে রোকাইয়া সুলতানা সুমি নির্বাচিত হয়েছেন।
ফেনী: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী খায়রুল বশর মজুমদার তপন আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নেত্রকোণা: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার সজল (আনারস) জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আসমা আশরাফ (প্রজাপতি) পেয়েছেন ২১৬ ভোট।
লক্ষ্মীপুর: জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চাঁদপুর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোবাইল প্রতীকের ওচমান গণি পাটওয়ারী আবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৭৩৮ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের জাকির হোসেন প্রধানিয়া পেয়েছেন ৫২৩ ভোট।
মুন্সীগঞ্জ: আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ: জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুর রহমান। এ নিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
চশমা প্রতীকে জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ৯৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. আশরাফ উদ্দিন রেনু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৮ ভোট।
সিরাজগঞ্জ: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।
কক্সবাজার: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহীনুল হক মার্শাল (আনারস)। তিনি ৫৭৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।
রির্টানিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এই ফল ঘোষণা করেন।
রংপুর: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু ৬০১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামীলীগ প্রার্থী রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৮ ভোট। ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
এবার দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয় ৫৭ জেলায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত স্থগিত করে।
ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই দুই জেলায় নির্বাচন হয়নি। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্যসহ মোট ১০৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রতি উপজেলা সদরে ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটকক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপন কক্ষে ভোট দেয়ার ছবি তুলতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড় পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সকাল থেকে ১ হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন সিইসিসহ চার কমিশনার।
গত ২৩ আগস্ট পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা পরিষদ বাদে ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।