বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামায়াত ভেঙে গঠন করা এবি পার্টির নিবন্ধনের আবেদন

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:২২

২০২০ সালের ২ মে দলটির যাত্রা শুরু হয়। তবে প্রতিষ্ঠার আড়াই বছরে আলোচনায় আসতে পারেনি দলটি। বলার মতো কোনো কর্মসূচিও ছিল না। আর ভিন্নধর্মী কোনো বক্তব্যও আসেনি দলটির পক্ষ থেকে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, জামায়াতের একটি উগ্রপন্থি উপদল তাকে হত্যার ফতোয়া দিয়েছে।

সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেতে আবেদন জমা দিল জামায়াতে ইসলামী থেকে বের হয়ে গঠন করা রাজনৈতিক দল আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলটির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী আবেদনটি ইসির উপসচিব মো. আব্দুল হালিম খানের কাছে জমা দেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মোট ৪৫ হাজার ডকুমেন্ট ইসিতে জমা দিয়েছি। নিবন্ধন পেতে যত শর্ত আছে সব পূরণের চেষ্টা করেছি।’

দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জামায়াত কিংবা সরকার, কারও আনুগত্যে নেই এবি পার্টি।

নেতারা জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত শর্তানুযায়ী দলের গঠনতন্ত্র, প্রস্তাবিত পতাকা ও প্রতীক, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তালিকা, ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ (২২টি) জেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলার ন্যূনতম ২০০ করে অর্থাৎ সর্বমোট অন্যূন ২২ হাজার নিবন্ধিত ভোটার সদস্যের তালিকা, তাদের ভোটার নম্বর ও দলে যোগদানের প্রমাণপত্র, জেলা ও উপজেলা মিলিয়ে ১২২টি দলীয় অফিসের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, দলের ব্যাংক হিসাব ও সর্বশেষ লেনদেনের স্থিতিসহ সব প্রামাণ্য দলিল জমা দেয়া হয়েছে।

চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত নতুন দলগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে। ইতিমধ্যে ২০টির মতো দল আবেদন করেছে।

২০২০ সালের ২ মে দলটির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দলটির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ছিলেন সচিব। অবসর গ্রহণের পর জামায়াতের পেশাজীবীদের সংগঠন জাতীয় পেশাজীবী ফোরামের নেতৃত্ব দিতেন, কুমিল্লা-৯ আসনে দলের প্রার্থীও ছিলেন।

দলের সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু ছিলেন জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।

দলটি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার দিন সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, ‘আমরা মনে করি, একাত্তর সালের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিজয় আমাদের জাতীয় ঐক্যের অন্যতম পাটাতন। এবি পার্টি সেই পাটাতনকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে বদ্ধপরিকর।’

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিনটি বিষয় রাখা হয়েছিল দলটির ঘোষণাপত্রে।

তবে প্রতিষ্ঠার আড়াই বছরে আলোচনায় আসতে পারেনি দলটি। বলার মতো কোনো কর্মসূচিও ছিল না। আর ভিন্নধর্মী কোনো বক্তব্যও আসেনি দলটির পক্ষ থেকে।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, জামায়াতের একটি উগ্রপন্থি উপদল তাকে হত্যার ফতোয়া দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর