রাজধানীর কদমতলী ও যাত্রাবাড়ীতে দুটি বাসা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে; যারা আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার সকালে ওই দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কদমতলী থেকে উদ্ধার মরদেহটি ২৪ বছর বয়সী সাজ্জাদ হোসেনের। আর যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার ৫৫ বয়সী ব্যক্তির নাম নিপেন সাহা নিপু।
কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বলেন, ‘সোমবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে কদমতলীর পূর্ব জুরাইনের একটি বাসা থেকে সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করি পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘সাজ্জাদের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এ অবস্থায় রাত ৩টার দিকে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।’
সাজ্জাদের বড় বোন আফরোজা আক্তার বলেন, ‘আমাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার এনায়েতনগর গ্রামে। বাবার নাম আবুল হোসেন। সজ্জাদ তেজগাঁও কলেজের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স পাস করেছে। ওই মেয়েটি সাজ্জাদকে মানসিক যন্ত্রণা দিত। এ কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে।’
এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী সায়েদাবাদের কেরানি গলির একটি বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিপেন সাহার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাসা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়।’
আবদুর রহিম বলেন, ‘শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ ছিলেন। নিপেন সাহা আগে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সম্প্রতি বেকার ছিলেন। স্ত্রী পলি সাহা ও দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে কেরানি গলির ২৮/৩ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
‘চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। হতাশায় ভুগছিলেন। ভোরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অভাব-অনটন তার আত্মহত্যার কারণ।’
নিপেনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। বাবার নাম নেপালচন্দ্র শাহা।