বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাদ্যাভাব রোধে সচেতন-সাশ্রয়ী হোন: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৪:৫৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে জমি আছে সবাই সেখানে কিছু উৎপাদন করেন। আর এখন তো ছাদকৃষি থেকে শুরু করে নানা ধরনের কৃষিব্যবস্থাও আছে। কাজেই যেভাবে পারেন নিজেদের খাদ্য উৎপাদনে সকলেই একটু মনোযোগী হোন, সাশ্রয়ী হোন।’

দেশে যাতে খাদ্যের অভাব দেখা না দেয় সে জন্য সবাইকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে যার যার জায়গা থেকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

সোমবার সকালে বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে যুক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে জমি আছে সবাই সেখানে কিছু উৎপাদন করেন। আর এখন তো ছাদকৃষি থেকে শুরু করে নানা ধরনের কৃষিব্যবস্থাও আছে। কাজেই যেভাবে পারেন নিজেদের খাদ্য উৎপাদনে সকলেই একটু মনোযোগী হোন, সাশ্রয়ী হোন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক সরকারি-বেসরকারি দপ্তর বা স্কুল-কলেজে অনেক জায়গা আছে। আমি মনে করি সেসব জায়গায় কিছু উৎপাদনের দিকে যদি আমরা দৃষ্টি বা নজর দিই, যে যা পারি উৎপাদন করি, তাহলে বাংলাদেশে কোনো দিন আর খাদ্য দুর্ভিক্ষ হবে না। বিশ্বব্যাপী যদি দুর্ভিক্ষ হয় এবং বাংলাদেশ যাতে খাদ্য জোগান দিতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই আমাদের করতে হবে।'

করোনাভাইরাস মহামারিসহ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসংকটের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‌'যুদ্ধের ফলে পরিবহন এবং খাদ্য প্রাপ্তিতে যে সমস্যা বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে এই সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ, আপনারা দেখেছেন যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, খাদ্যের অভাব দেখা দিবে। তাই আমাদের বাংলাদেশে যেন কোনো রকম খাদ্যের অভাব না দেখা দেয় তার জন্য এখন থেকে সকলকে সচেতন হতে হবে।'

সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে কৃষিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণ যোগ করা হয়েছে। বীজ উৎপাদনে গবেষণা চলছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি রপ্তানির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার বলেও জানান তিনি ।

উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের সংরক্ষণ করার জন্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ করার পদক্ষেপসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণে জোর দেওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'আমাদের মাটি আর মানুষ এই তো আমাদের সব থেকে বড় শক্তি। ফলমূল এগুলি তো অনেক কিছু নতুন উৎপাদন শুরু করেছি। কাজেই সেদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।'

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতার উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাটি, মানুষ ও প্রকৃতি; সবকিছুর সঙ্গে মিল রেখেই আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আমাদের দেশকে আরও উন্নত করব এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’

নিরাপদ খাদ্যটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ও ল্যাবরেটরি এবং বিভাগীয় ল্যাবরেটরি স্থাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পূর্বাচলে ৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। আটটি বিভাগীয় শহরে বিভাগীয় ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের হটলাইন চালু করা হয়েছে।

কৃষি উৎপাদন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষিবিদসহ কৃষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর