গাজীপুর মহানগরে ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেয়ার সময় সিলিন্ডারভর্তি কাভার্ড ভ্যানে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যু হয়।
৩৩ বছর বয়সী মো. পারভেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘গাজীপুর থেকে পাঁচজন দগ্ধ পেশেন্ট (রোগী) এখানে ভর্তি ছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ বছর বয়সী পারভেজ নামের আরও এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে মারা যান। তার শরীরে ৮৬ শতাংশ দগ্ধ ছিল। চিকিৎসাধীন বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
এর আগে শুক্রবার সকালে এই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ২৬ বছর বয়সী মিঠু মিয়ার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
গাজীপুরের গাছা থানাধীন বড়বাড়ী এলাকার ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়, যাতে কাভার্ড ভ্যানে থাকা পাঁচজন গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয়দের সহায়তায় রাতে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভ দেবনাথ জানান, দগ্ধদের মধ্যে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মৃত্যু হয় মিঠু মিয়ার। শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসাধীন অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, জীবিত দগ্ধদের মধ্যে ২৭ বছর বয়সী আনোয়ার ইসলামের শরীরের ৩৫ শতাংশ, ২৫ বছরের আল আমিনের ৫০ শতাংশ এবং সমবয়সী সিরাজুল ইসলাম টুটুলের ৮০ শতাংশ পুড়েছে।
দগ্ধ আল-আমীন বলেন, ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানাধীন বড়বাড়ী এলাকার ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় সিলিন্ডারভর্তি কাভার্ড ভ্যানটি গ্যাস নিতে ফিলিং স্টেশনে গেলে বিকট শব্দে একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে মুহূর্তেই কাভার্ড ভ্যানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানে থাকা পাঁচজন গুরুতর দগ্ধ হই।’
‘পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আমাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।’