ভোটকেন্দ্রের সামনে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য। কেন্দ্রে যারা আসছেন সবাইকে তল্লাশি করে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীরা তাদের এজেন্ট নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। প্রথমবারের মতো কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। জেলা পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড তিতাস উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রে ভোট শুরুর সকালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
ভোট টানতে কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীরা কৌশলী আচরণ করছেন। ইনিয়েবিনিয়ে নিজের প্রতীকসম্বলিত লিফলেট তুলে দিচ্ছেন। ভোটাররাও হাসিমুখে দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি।
সকাল সকাল ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে হাসিমুখে বের হওয়ার সময় কথা হয় তিতাস উপজেলার জগৎপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাই দুটি ভোট দিয়েছি। একটি সাধারণ ওয়ার্ড অন্যটি সংরক্ষিত সদস্য। প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিয়েছি। ভালো লেগেছে।’
তিতাস উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান জানান, সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে তিনজন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪ জন মিলে মোট ৭ জন ভোটে লড়ছেন। এই ওয়ার্ডে ১২০ জন ভোটার। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯২ এবং নারী ভোটার ২৮ জন।
সকালে তিতাস কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কুমিল্লা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একবারে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি কেউ কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তাকে গ্রেপ্তার করতে।’
তিতাস কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে চারস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।’
কুমিল্লা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে দুটি করে ইভিএম মেশিন আছে। ব্যাকআপ হিসেবে ৪টা করে আছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আরও ১৫টি মেশিন রয়েছে। তাই কোথাও ইভিএম সমস্য হলে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লায় চেয়ারম্যানসহ ৫ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই আজ ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে এবং ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে ভোটগ্রহণ চলছে। ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ জন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৮ জন প্রার্থী হয়েছেন। মোট ভোটার ২৬৭৯ জন।