মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী রাজাকারদের সন্তানরাও বাংলাদেশ বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ফোজিত শেখ বাবুর আলোকচিত্র প্রদর্শন ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনায় কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাহাত্তরের সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে একদিকে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন; অন্যদিকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করার সকল নীল-নকশা প্রণয়ন করেছেন। যার অংশ হিসেবে রাজনীতি থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে রাজাকার ও রাজাকার সন্তানরা আজ প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের অপশক্তি বাস্তবায়নে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে।’
চট্টগ্রাম বিএনপির সমাবেশে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর রাজাকার শাবকের মুখে হুঙ্কার শোনা যায়। রাজাকারের ঘরে-ঘরে নাকি এই সরকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। এমন ঔদ্ধত্যের আহ্বানের নেপথ্যে স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর বিএনপির ষড়যন্ত্র জড়িত। বিএনপির রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রাজাকার যেমন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবে রাজাকারের সন্তানরাও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেয়ার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে।’
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এদেশের রাজাকারদের যেমন পরাজিত করেছে, ঠিক তেমনিভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে রাজাকারদের সন্তানদেরও প্রতিহতের ঘোষণা দেন তিনি।
পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য-কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান কবীর চৌধুরী তন্ময়।
ড. মো. নাছিম আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, ড. মো. আব্দুল্লাহ-হেল কাফী, শব্দ সৈনিক মনোরঞ্জোন ঘোষাল, ব্যবসায়ি মিজানুর রহমান সরকারসহ অন্যরা।