দিনাজপুরে সিআইডি কর্মকর্তা নুরুল আমিনের বাড়িতে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শিশুর বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর গ্রামে। নুরুলের গ্রামের বাড়িও সেখানে।
শিশুটির বয়স ১২, সে এখন সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তার অভিযোগ, নুরুলের স্ত্রী আশা বেগম বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করেছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শিশুর পরিবারের সঙ্গে আপোষের চেষ্টাও করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়টি জানা আছে জানিয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শিশুর নানা ও গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত ৯ মাস ধরে শিশুটি নুরুলের দিনাজপুরের বাসায় কাজ করছিল। নুরুল ও আশা তাকে নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর গ্রামে একটি বিয়ের দাওয়াতে যোগ দিতে আসে। তখনই শিশুটি সুযোগ পেয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নির্যাতনের বিষয়ে জানায়।
শিশুর নানা জানান, মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় মারধর করা হতো, কয়েকবার কয়েলের ছ্যাকাও দিয়েছে। মারধরে দাঁতও ভেঙেছে তার। এসব শোনার পর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নানা বলেন, ‘নাতনিটাকে এভাবে মারছে; কয়েলের ছ্যাঁকা দিছে। আমিমি এর বিহিত চাই। নুরুলের শাস্তি চাই।’
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স ইসমত আরা ইভা বলেন, ‘শিশুটির অবস্থা গুরুতর। শরীরে অনেক আঘাত রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
শিশুর নানার অভিযোগ, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে বসে ৪ লাখ টাকায় রফাদফা করার কথা বলেন নুরুল আমিন। তবে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোনো আপোষ হয়নি; শিশুর পরিবারকে আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নুরুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আপোষচেষ্টার বিষয়টি জানিয়েছেন তার ভাই নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শিশুটির চিকিৎসার জন্য টাকা দেয়া হয়েছে। আর বিষয়টি মিটমাটও করা হয়েছে।’