ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাদ্রাসার ৯ বছর বয়সি ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
পৌরসভার বাকাইল মাদ্রাসায় রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শিশুর পরিবার।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. ওয়ালিউল্লাহ। তার বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী গ্রামে।
শিশুর মা নিউজবাংলাকে জানায়, মাদ্রাসার আরেক শিক্ষার্থীর ট্রাংকের তালা ভেঙে খাবার চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সন্দেহের ভিত্ত্বিতে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে বেত্রাঘাত করেন শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহ। শিশুটি এক পর্যায়ে পালিয়ে বের হয়ে মাদ্রাসার পাশে তার বোনের বাড়ি গিয়ে সব জানায়।
তার মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে হাফেজ বানানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছি। তাকে তো মেরে ফেলার জন্য দেইনি। আমার ছেলের সারা শরীরে বেতের আঘাতের চিহ্ন। হুজুর আমার ছেলেকে দরজা-জানালা বন্ধ করে মারছে। এভাবে শিক্ষক কোনো ছাত্রকে মারতে পারে না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
শিশুটি নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমি কারও ট্রাংকের তালা ভাঙিনি। কিন্তু হুজুর আমারে তারপরও অনেক মারছে। আমি হুজুরের পা ধরেও বলছি আমারে মাইরেন না, তারপরও মারা বাদ দেই নাই।’
অভিযোগ স্বীকার করে শিক্ষক ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘ওই ছাত্র মাদ্রাসার আরেক ছাত্রের ট্রাংকের তালা ভেঙে খাবার খেয়েছে, এ জন্য মারা হয়েছে।’
ওয়ালিউল্লাহ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান টিপু বলেন, ‘এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরিচালনা কমিটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
শিশুটির শরীরে বিভিন্ন স্থানে বেত্রাঘাতের চিহ্ন আছে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সিলভিয়া আশরাফী মিতা বলেন, ‘তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান।