থানায় আসা সব ধরনের মানুষের কথা সহানুভূতির সঙ্গে শোনার নির্দেশ দিয়ে নবনিযুক্ত পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, থানাকে জনগণের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে রোববার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মনজুর রহমান স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আইজিপি বলেন, ‘থানাকে জনগণের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। থানার দরজা কখনো বন্ধ হয় না, ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। থানায় আগত মানুষের কথা সহানুভূতির সঙ্গে শুনতে হবে। পুলিশের প্রতি জনগণের যে ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি আরও বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। আমরা কাজ করছি বলেই আমাদের কাছে জনগণের আশার মাত্রা আকাশচুম্বী হয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।’
পুলিশ জনগণের যে আস্থা অর্জন করেছে তা ধরে রাখার তাগিদ দিয়েছেন আইজিপি।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সেবার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘৯৯৯-এ প্রতিদিন প্রচুর কল আসে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষ আমাদের সেবা পেয়ে থাকেন। ৯৯৯ জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’
এ ধরনের একটি সার্ভিস পুলিশকে দেয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ডিএমপি বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগের বাঙালি পুলিশ সদস্যরা সামান্য থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটাই লক্ষ্য ছিল দেশকে স্বাধীন করতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ডিএমপির প্রতিটি সদস্য ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিএমপির কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
এর আগে মোটরকেড ও সুসজ্জিত অশ্বারোহী পরিবেষ্টিত হয়ে আইজিপি সংবর্ধনাস্থলে এসে পৌঁছান। একটি চৌকস পুলিশ দল তাকে গর্ড অব অনার দেয়। ডিএমপি কমিশনার ফুল দিয়ে আইজিপিকে অভ্যর্থনা জানান।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।