অস্থায়ী শ্রমিকদের বাদ দিয়ে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে রেলে বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন অস্থায়ী রেল শ্রমিকরা। তারা তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি তুলেছেন।
গত ৩ অক্টোবর একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাসভবনের সামনেও ছয় দফা দাবি তুলে ধরে নানারকম স্লোগান দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিক পরিষদ (টিএলআর) নামে একটি সংগঠন এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাধারণ রেলওয়ে শ্রমিকরাও এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন শ্রমিকরা।
ঢাকা রেলওয়ে (কমলাপুর) থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তারা রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তাদের দাবিগুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এখানে কোনো অরাজকতা নেই।’
শ্রমিকদের এসব দাবি প্রসঙ্গে ৩ অক্টোবর রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। বিষয়টি আমাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে এই পদ্ধতিতেই আগামীতে শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।’
অস্থায়ী শ্রমিকদের সবাইকে বাদ দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ হাজারের মতো শ্রমিক বাদ যাবে। কারণ অস্থায়ী শ্রমিকের বিষয়টি সরকার আর মানছে না। সরকার থেকে নির্দেশনা এসেছে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ দিতে হবে।
‘স্বাভাবিকভাবেই সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী ডিসেম্বর থেকে অস্থায়ী শ্রমিকরা বাদ পড়ে যাবেন। তবে আউটসোর্সিংয়ে যারা টেন্ডার পাবে, আমরা তাদের অনুরোধ করব অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে যারা অভিজ্ঞ তাদের কাজে রাখার জন্য। তবে এটা অনুরোধ, কোনো শর্ত নয়। আউটসোর্সিংয়ে ওপেন টেন্ডার হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিক নেয়ার বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত জারি হয়েছে বেশ আগেই। তবে আমরা অর্থাৎ রেল মন্ত্রণালয় কিছুদিন সময় বাড়িয়ে নিয়েছি। কারণ অস্থায়ী শ্রমিকরা রেলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।’
অস্থায়ী শ্রমিকদের বেতন না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি অর্ডারের কারণে তাদের বেতন আটকে রয়েছে। তবে তারা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পাবে।’