রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ নেতা-কর্মীর রিমান্ড শুনানির তারিখ পিছিয়ে ২০ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে এই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক গোলাম হোসেন অসুস্থ। আরেক তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল আলম অপু সাক্ষ্য দিতে চট্টগ্রাম আদালতে। তাই তারা হাজির হতে পারেননি।
১৩ অক্টোবর দুই মামলায় ১৪ দিনের এ রিমান্ড আবেদন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব ও সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।
মামলায় বলা হয়, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে আসামিরা সমাবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ কাজ করা হয়।
আসামিরা সরকার, সরকারপ্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলেও উল্লেখ করা হয় মামলায়। বলা হয়, তখন ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে আসামিরা রড, হকিস্টিক ও বাঁশ দিয়ে তাদের মারধর করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করেন। পুড়িয়ে দেয়া হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে সমাবেশের পরিবেশ নষ্ট হয়।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের নেতা নাজিম উদ্দিন মামলা করেন। মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
এই ঘটানায় ছাত্র অধিকার পরিষদ পাল্টা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে।