গাজীপুর থেকে ঢাকার বিমানবন্দর মোড় পর্যন্ত বাস চলাচলের আলাদা লেন বিআরটি প্রকল্প কতটা সফল হবে, সেটি নিয়ে শেষ বেলায় এসে সংশয় প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার মতে, এই প্রকল্প অনুমোদনের সময় ভাবনার ঘাটতি ছিল।
এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চলাকালে ঢাকার উত্তরা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এসে এখন ভিন্ন মূল্যায়ন করছেন মন্ত্রী।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এই কথা বলেন তিনি।
বিআরটি প্রকল্প কতটুকু বাস্তবসম্মত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা প্রকল্প আমাদের গলার কাঁটা হয়েছে৷ সেটি হলো বাস র্যাপিড ট্রানজিট। এটা আমি আসার আগেই নেয়া হয়েছিল। এই প্রকল্প কতটা বাস্তবসম্মত ছিল, তাতে ভাবনার ঘাটতি ছিল।’
মাত্র ৩৫-৪০ মিনিটে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর যাওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ২০১২ সালে দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প বিআরটি হাতে নেয় সরকার, যা ২০১৬ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়াদ বাড়াতে বাড়াতে সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর। তবে চলতি বছরেও এ কাজ শেষ হবে না।
আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশের নিচে, বাকিটা শেষ করতে আরও এক বছর লেগে যাবে বলে জানাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এই প্রকল্পের কাজ চলাকালে আগস্টে একটি দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুর পর এসেছে যে, নির্মাণসামগ্রী পড়ে এর আগেও একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আর নির্মাণ কাজ চলার সময় সড়কে সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দের কারণে বিশেষ করে বৃষ্টির দিন তৈরি হয় দুঃসহ যানজট।
একটি গণমাধ্যমে এই প্রকল্প নিয়ে এমন প্রতিবেদনও এসেছে যে, বাস স্টপগুলোর যে নকশা করা হয়েছে, সেখানে মূল সড়ক সরু হয়ে গিয়ে সেটি যানজট তৈরি করবে, যা গাড়ির নির্বিঘ্ন চলাচলের দর্শনের বিরোধী। আবার বাস স্টপগুলো সড়কের এমন পাশে রাখা হয়েছে, যাতে গাড়ির দরজা রাখতে হবে উল্টো পাশে, অর্থাৎ যে পাশ দিয়ে যাত্রীরা উঠানামা করে, তার বিপরীত দিকে।