অনিয়ম এড়াতে গাইবান্ধায় ভোট বন্ধের পর রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের জন্ম নিলেও সে বিষয়ে কোনো চাপ অনুভব করছে না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনিটরিং সেল পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি।’
ঢাকার নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেল থেকেই সিসি ক্যামেরায় মাঠের ভোট পর্যবেক্ষণ করে ইসি। গত ১২ অক্টোবরও এখান থেকে ভোট পর্যবেক্ষণে অনিয়ম দেখা দেয়ায় ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মধ্যে একে একে ৫১ কেন্দ্র, পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।
এরপর ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় ইসিকে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সিসি টিভির প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আমরা এটার মাধ্যমে এখান থেকে নির্বাচন মনিটর করতে পারি। এটা একটা ভালো দিক।’
নির্বাচন কমিশনের কোনো পক্ষ নাই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো কোনো পক্ষ নেই। আমরা চাই ভোটাররা যেন তাদের ভোটটা দিতে পারেন। সেই লক্ষ্যেই আমরা সিসি টিভির ব্যবহার করছি।’
সংসদ নির্বাচনে কীভাবে এতগুলো কেন্দ্র সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করবেন, এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘তখন ৪০ বা ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রের ৪ লাখ ভোটকেন্দ্র থাকবে। আমাদের কারগরি টিম জানিয়েছে সেখানে সিসি টিভি ব্যবহার করা যাবে।
‘তবে তখন কেবল আমরা পাঁচ নির্বাচন কমিশনার নই, আরো লোকবল মনিটরিংয়ের জন্য নিয়োগ করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা নিয়োজিত থাকবেন।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘গাইবান্ধার নির্বাচনের মতোই আগামীকালের জেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।’