চট্টগ্রামে দলীয় কোন্দলের বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি সভা শেষে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে ২ নেতা আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে ওই প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের বরাতে জানা গেছে, ওই ইউনিটের বিভিন্ন উপজেলার কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে সৃষ্ট কোন্দল থামাতে দায়িত্ব দেয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালকে। পরে তার উপস্থিতিতেই সভা শেষে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন ওরফে কালা হেলালের নেতৃত্বে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ দেয়া পক্ষের দুই নেতার ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়।
এতে ছুরিকাহত হন আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার ও দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকা।
শনিবার বিকেলে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপির একাধিক নেতা।
হামলায় নেতৃত্ব দেয়া হেলাল উদ্দিন ওরফে কালা হেলাল বহুল আলোচিত জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সভায় ২০ থেকে ২২ জন বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্যে খোকা ভাই ও আনসার ভাইসহ কয়েকজন কমিটি গঠনের সময় আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগ ছিল- মূলত দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্যসচিব মোস্তাক আহমেদ খানের বিরুদ্ধে। এতেই ক্ষুব্ধ হন সুফিয়ান ভাইয়ের অনুসারী কালা হেলাল।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত জিয়াউল হক জুনায়েদ নামে দক্ষিণ জেলার এক ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘সভা শেষে পার্টি অফিসের পাশে সবার সামনে আনসার ভাই ও খোকা ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে হেলাল, জিয়া আর ফোরকান। ছুরিকাহত হওয়ার পর আনসার ভাই ও খোকা ভাইকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তবে সংঘর্ষ বা ছুরিকাঘাতের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান।
হামলার ঘটনা ও কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আবু সুফিয়ান ও হেলাল উদ্দিন প্রকাশ কালা হেলালের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।