নরসিংদীতে নিজের বুক ছিদ্র ও শরীর ক্ষত করে গুলিবিদ্ধ হওয়ার নাটকে নিজেই ফেঁসে গেছেন সজিব মিয়া নামে হত্যা মামলার সাক্ষী এক যুবক।
শনিবার দুপুরে নরসিংদীর পুশিল সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন মিয়া।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ সালে নরসিংদীর শিবপুরে আরিফ পাঠান নামে এক ইউপি সদস্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ মামলার সাক্ষী সজিব মিয়া গত ১১ অক্টোবর আদালতে এসে সাক্ষ্য দেন। পরদিন ওই হত্যা মামলার ৪ আসামির দ্বারা প্রাণনাশের হুমকিতে আছেন দাবি করে মাধবদী থানায় জিডি করেন।
এ অবস্থায় গত শুক্রবার দুপুরে মাধবদীর পাঁচদোনা এলাকায় নির্জন একটি পুকুরপাড়ে গিয়ে এক বন্ধুর সহায়তায় ছোট একটি চাকু দিয়ে নিজের বুকের ডানপাশে ছিদ্র ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিজেই ক্ষত করেন সজিব। পরে বুকের ছিদ্রের ভেতরে লোহার একটি ছোট টুকরা ঢুকিয়ে দেন।
পরে হাসপাতালে এসে স্বজন, ডাক্তার এবং সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেয়ায় আসামিরা তাকে গুলি করেছে।
এ অবস্থায় আসামিদের গুলিতে সাক্ষী আহত হওয়ার খবরে জেলা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ঘটনা সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ফুটেজসহ সংগ্রহ ছাড়াও বিষয়টি বিভিন্নভাবে পর্যালোচনা করা হয়।
তদন্তে পুলিশ দেখতে পায়, সজিবের পরনে থাকা শার্টের ছিদ্রের সঙ্গে শরীরের যে স্থানে গুলি লেগেছে বলে দাবি করা হয়েছে সেই স্থানটি মিলছে না। এসব কারণে সজিবের দাবি নিয়ে সন্দেহ হয়।
পরে সজিব মিয়াকে আহতবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু মামুম মিয়াকে জিজ্ঞাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন- মামলার আসামিদের ফাঁসাতেই নিজের বুকে ছিদ্র করে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভান করেছেন সজিব।
এ ঘটনায় সজিব মিয়া ও মামুমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।