বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গোপন কক্ষের শঙ্কা দূর করতে হবে’

  •    
  • ১৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৮:০৫

মতবিনিময় সভায় নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘শুনেছি ব্যালট পেপারে যে কেউ সিল মারতে পারে। কিন্তু ইভিএমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলা পর্যন্ত ব্যালট তৈরি হবে না। এখন যে প্রসঙ্গটি সামনে আসছে তা হলো- গোপন কক্ষে আমার জায়গায় অন্য কেউ বাটন টিপছে কিনা। এই নিরাপত্তার জায়গাটা নিশ্চিত করতে হবে।‘

‘আগে শোনা গেছে ব্যালট পেপারে যে কেউ সিল মেরে বাক্স বোঝাই করতে পারে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সেই সুযোগ নেই। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়, গোপন কক্ষে আমার পরিবর্তে অন্য কেউ বাটন চাপছে কি না। এই নিরাপত্তার জায়গাটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আয়োজিত ‘কূটনীতিকদের দৃষ্টিতে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন ও ইভিএম ব্যবহার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘শুনেছি ব্যালট পেপারে যে কেউ সিল মারতে পারে। কিন্তু ইভিএমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলা পর্যন্ত ব্যালট তৈরি হবে না। আমার মনে হয় এটি অনেক বড় একটি জায়গা, যেখানে ফলস ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। এখন যে প্রসঙ্গটি সামনে আসছে তা হলো- গোপন কক্ষে আমার জায়গায় অন্য কেউ বাটন টিপছে কি না। এই নিরাপত্তার জায়গাটা আমাদের তৈরি করতে হবে। মানুষকে বুঝাতে হবে যে এরকম কোনো সুযোগ নেই। মানুষের এই শঙ্কার জায়গাটা দূর করতে হবে।

‘বিভিন্ন সময় দেখেছি সরকারের দলের প্রচারের জন্য নানা ভিডিও তৈরি করা হয়। জেলা পর্যায়ে প্রচারের জন্য নেয়া হয় নানা উদ্যোগ। ইভিএম সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য সেরকম প্রচার দরকার। এতে করে বিভ্রান্তির যে জায়গাটি আছে, সেটি দূর হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের জন্য সুযোগ একই রকম না হলে ভোট কাস্ট কমে যাবে, যা বিতর্ক সৃষ্টি করবে। ইভিএমেও ভোট কাস্ট কমবে। এ দিকটি বিবেচনায় নিতে হবে।

‘১৯৯৬ সালে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় দলীয় সরকারের অধীনের তুলনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের নির্বাচনে ভোটারের অংশগ্রহণ বেশি ছিল। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া থেকে মুক্তি দিতে হলে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আর এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং আন্তরিক হতে হবে।’

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস নিজ দেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলে, ‘ইভিএম-এ ভোট কারচুপি ও সহিংসতা কমেছে। আগে মানুষ ব্যালট ছিলতাই করত। কেন্দ্র দখল করার জন্য রক্তপাত হতো। ইভিএম ব্যবহারের কারণে বিগত ২০ বছর ধরে তা বন্ধ হয়েছে। তবে ইভিএম-এ ভোট প্রয়োগের শেষ ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সব উদ্যোগ বিফলে যাবে।’

ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনাররা ঢাকায় বসে সিসিটিভির মাধ্যমে গাইবান্ধার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। শুরুতে দুই-চারটি কেন্দ্রের গোপন কক্ষে কাউকে দেখা গেছে। এটা তারা দেখেছেন। ধীরে ধীরে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাহলে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি কেন- এমন একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।

‘ওই ঘটনায় ইভিএম-এর কোনো দুর্বলতা ছিল না। অন্য কিছু হতে পারে। আগে ব্যালট ছিনিয়ে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটত। এখন কিন্তু সেই ঘটনা আর নেই। আমরা চাই আগামী জাতীয় নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাব হোক।’

মতবিনিময় সভায় সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, ইভিএম সুন্দর ও নির্ভুল পদ্ধতি, একই সঙ্গে ব্যয়বহুলও। কিন্তু এটা আমাদের বাংলাদেশের নির্বাচনে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারা সম্ভব নয়। ইলেকশন কমিশনকে যদি সহযোগিতা করতে পারি, প্রশাসন যদি সহযোগিতা করে তবে ব্যালটের মাধ্যমেও সুন্দর নির্বাচন হয়। সে বিষয়টিও আমরা উড়িয়ে দিতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কিছু ইভিএম ও কিছু ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা প্রশাসনকে আহ্বান জানাব ইলেকশন কমিশনের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য, যাতে করে সামনের জাতীয় নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়।’

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আহমেদ আবুল কালাম আজাদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীর সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর নূর দুলাল, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর